মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নাহিদের গতির ঝড়ে লন্ডভন্ড মোহামেডান

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ডিপিএলে মঙ্গলবার ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে শাইনপুকুরের পেসার নাহিদ রানা -বিসিবি

নাহিদ রানার গতির ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে মোহামেডান শিবির। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইনে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সাদা-কালো শিবির। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব মোহামেডানকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে।

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ঝলমলে পারফরম্যান্স দেখালেন নাহিদ রানা। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে তিনি নিলেন ৫ উইকেট। ছয় ম্যাচের লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারে এটি তরুণ ডানহাতি পেসারের সেরা বোলিং নৈপুণ্য। ৪৫ রান খরচায় নাহিদ শিকার করেন ৫ উইকেট। সবগুলো উইকেটই নেন প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ক্যাচ বানিয়ে। ১০ ওভারের কোটা পূরণের পথে তিনি ডট দেন ৪১টি বল। আগের ম্যাচে গাজী গ্রম্নপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৫৪ রানে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট। ফলে চলতি আসরে স্রেফ দুই ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট হয়ে গেল তার নামের পাশে।

লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এটি ২১ বছর বয়সি গতিময় পেসার নাহিদের দ্বিতীয় ৫ উইকেট। সিলেটে গত মার্চে শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা বোলারের আগের সেরা পারফরম্যান্স ছিল উত্তরাঞ্চলের হয়ে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে। গত বছরের ডিসেম্বরে বিসিএল ওয়ানডে লিগের ফাইনালে তিনি ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ৫০ রান খরচায়। তার চমৎকার বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের অবদানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উত্তরাঞ্চল। তিনি জিতেছিলেন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে নাহিদ রানার ফাইফারে ৯ উইকেটে ২২৭ রান করে মোহামেডান। তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেটে ২৭.৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শাইনপুকুর। ১০ রাউন্ড শেষে শাইনপুকুরের এটি সপ্তম জয়, অন্যদিকে সমান রাউন্ডে মোহামেডানের তৃতীয় হার।

মোহামেডানের রান তাড়া করতে নেমে সঠিক পথেই চলছিল শাইনপুকুরের ইনিংস। ২৪.৩ ওভারে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ ছিল প্রায় ২ ঘণ্টা। বৃষ্টি গেলে শাইনপুকুরের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩ বলে ৩৬ রান। মোহামেডানের এলোমেলো বোলিংয়ে ১৪ বল আগেই জিতে যায় শাইনপুকুর। খেলা মাঠে না গড়ালেও ফল হতো একই। আকবর আলী ২৭ ও ইরফান শুক্কুর ১১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া জিসান আলম ২৬, মার্শাল আইয়ুব ৩০ রান করেন। মোহামেডানের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, নাঈম হাসান ও মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ নেন ১টি করে উইকেট।

এর আগে মোহামেডানের ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি। ৩১ রানে দলটি হারিয়ে ফেলে ২ উইকেট। শূন্য রানে ফেরেন ফর্মে থাকা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেন ইমরুল কায়েস। ফিফটির পর ৫৬ রানে ইমরুল আউট হলে ভাঙে জুটি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে