বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আদানি গ্রম্নপের সঙ্গে ঢাকার বিদু্যৎ ক্রয় চুক্তি বৈষম্যমূলক :টিআইবি

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
আদানি গ্রম্নপের সঙ্গে ঢাকার বিদু্যৎ ক্রয় চুক্তি বৈষম্যমূলক :টিআইবি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বাংলাদেশ সরকারকে আদানি গ্রম্নপের সঙ্গে অস্পষ্ট এবং বৈষম্যহীন বিদু্যৎ ক্রয় চুক্তিকে পুনর্বিবেচনা করতে এবং প্রয়োজনে বাতিল করতে বলেছে। এটি নজিরবিহীন বৈষম্যমূলক চুক্তি হিসেবে বিবেচিত হবে।

শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত ভারতের আদানি থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদু্যৎ কেনার জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সই করা অসম, অস্বচ্ছ ও বৈষম্যমূলক চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের বিদু্যৎ খাত এই বিতর্কিত কোম্পানির কাছে জিম্মি হতে পারে।

এই সংস্থাটি বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করে এর শর্তাবলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করতে বলেছে। একই সঙ্গে জাতীয় স্বার্থে বিশেষ করে এই চুক্তির চূড়ান্ত বোঝা দেশের জনগণকে বহন করতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়ে প্রয়োজনে চুক্তিটি বাতিল করার পরামর্শ দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় অবস্থিত আদানি পাওয়ার পস্ন্যান্ট থেকে উৎপাদিত বিদু্যতের দাম দেশে উৎপাদিত বিদু্যতের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি হবে। আবার, বিদু্যৎ ক্রয় চুক্তিতে (পিপিএ) আদানি পাওয়ার থেকে এই উচ্চ মূল্যে বিদু্যৎ কেনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আন্তর্জাতিক নির্ভরযোগ্য বিশ্লেষণে এই চুক্তিটি বাংলাদেশের জন্য অসাম্য ও অস্পষ্ট এবং নজিরবিহীন বৈষম্যমূলক চুক্তি হিসেবে বিবেচিত।

তিনি বলেন, 'মনে হচ্ছে চুক্তিটি বাংলাদেশের স্বার্থকে উপেক্ষা করে আদানি গ্রম্নপের স্বার্থকে এমনভাবে সমর্থন করেছে যে বাংলাদেশের বিদু্যৎ খাত এই কোম্পানির হাতে জিম্মি হয়ে যেতে পারে। এই বোঝা এদেশের মানুষকেই বহন করতে হবে।'

অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক 'আদানি ওয়াচ'সহ নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সূত্রে প্রকাশিত তথ্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, 'গোড্ডা বিদু্যৎ কেন্দ্রে যে কয়লা ব্যবহৃত হবে তা আসবে আদানির মালিকানাধীন ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিতর্কিত খনি থেকে। এগুলো আদানির জাহাজে ও রেলে করে পরিবহণ ও খালাস হবে আদানির মালিকানাধীন বন্দরে। আবার উৎপাদিত বিদু্যৎ পরিবহণ করা হবে আদানিরই নির্মিত সঞ্চালন লাইনে।

আরও জানা যাচ্ছে, জ্বালানি খরচসহ এই পুরো প্রক্রিয়ার ব্যয় বইতে হবে বাংলাদেশকে। যেটি বৈশ্বিক বিদু্যৎ খাতের অভিজ্ঞতায় অভূতপূর্ব।

ফলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরবরাহকৃত বিদু্যতের জন্য দেশের অন্য যে কোনো সরবরাহকারী থেকে প্রাপ্ত বিদু্যতের তুলনায় অস্বাভাবিক বেশি হারে মূল্য দিতে হবে।

একইভাবে, আদানির গোড্ডা প্রকল্পের ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ দিতে হবে দেশি-বিদেশি উদ্যোগে পরিচালিত অন্য যে কোনো প্রকল্পের তুলনায় অগ্রহণযোগ্য বেশি হারে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে