রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার

ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩৯৪ কোটি টাকা

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ৩-৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। তবে ডিএসই-৩০ ও শরিয়াহ সূচক কমেছে। দৈনিক গড় লেনদেন ৪৪৫ কোটি থেকে বেড়ে ৬৫৫ কোটি টাকায় উঠে এসেছে। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২ হাজার ৬২২ কোটি ৮০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে মোট ২ হাজার ২২৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩৯৪ টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬৫৫ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ৪৪৫ কোটি টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭.৫৯ পয়েন্ট বা ০.১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬,৩০৭.০৮ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩.৩৩ পয়েন্ট বা ০.২৪ শতাংশ কমে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪.৫১ পয়েন্ট বা ০.২১ শতাংশ কমে যথাক্রমে ১,৩৬৯.১৯ এবং ২,১৩৭.১০ পয়েন্টে এসেছে।

হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বুধবার অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। যে কারণে বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ৩-৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ারবাজারে চার কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে।

এই চার কর্মদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৮২টির দর বেড়েছে, ৭৮টির দর কমেছে, ২২৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে এবং ২১টির লেনদেন হয়নি।

গেল বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কিছুটা বেড়েছে। তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৪.৩৯ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা ১৪.৪০ পয়েন্টেই অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.০১ পয়েন্ট বা ০.০৭ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনের নেতৃত্বে উঠে এসেছে ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ২৩৯ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯.১৫ শতাংশ।

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ১০৭ কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকার, ক্রিস্টাল ইন্সু্যরেন্সের ৮২ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার টাকার, সি পার্ল রিসোর্টের ৭০ কোটি ৫০ হাজার টাকার, রূপালী লাইফ ইন্সু্যরেন্সের ৫৯ কোটি ৭৭ লাখ ২০ হাজার টাকার, খান ব্রাদার্সের ৫৯ কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার টাকার, জেমিনি সি ফুডের ৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার, কন্টিনেন্টাল ইন্সু্যরেন্সের ৫৬ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৫০ কোটি ৭০ হাজার টাকার এবং ইউনিক হোটেলের ৫০ কোটি ৪১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইস্টার্ন ইন্সু্যরেন্সের। সপ্তাহের শুরুতে ইস্টার্ন ইন্সু্যরেন্সের উদ্বোধনী দর ছিল ৪৮ টাকা ৯০ পয়সা। আর শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৬৩ টাকা ২০ পয়সা। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ টাকা ৩০ পয়সা বা ২৯.২৪ শতাংশ। এর মাধ্যমে ইস্টার্ন ইন্সু্যরেন্স ডিএসইর সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থান দখল করেছে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্যারামাউন্ট ইন্সু্যরেন্সের ২৬.৪৪ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্সু্যরেন্সের ১৯.৫৪ শতাংশ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ১৯.০৭ শতাংশ, ক্রিস্টাল ইন্সু্যরেন্সের ১৬.৭৫ শতাংশ, আইএসএনের ১২.২৩ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্সু্যরেন্সের ১২.১৫ শতাংশ, ইসলামী ইন্সু্যরেন্সের ১১.৪০ রিলায়েন্স ইন্সু্যরেন্সের ১১.২৪ শতাংশ, ইউনাইটেড ইন্সু্যরেন্সের ১০.৯৭ শতাংশ এবং নর্দার্ন ইন্সু্যরেন্সের ১০.৮৫ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে খান ব্রাদার্স পিপি ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের। সপ্তাহের শুরুতে খান ব্রাদার্সের উদ্বোধনী দর ছিল ২৮ টাকা ৩০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ২৪ টাকা ৯০ পয়সা। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ১২.০১ শতাংশ। এর মাধ্যমে খান ব্রাদার্সের ডিএসইর সাপ্তাহিক দর পতনের তালিকায় শীর্ষে স্থানে অবস্থান নিয়েছে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডেফোডিল কম্পিউটার্সের ৯.১৪ শতাংশ, সি পার্ল রিসোর্টের ৮.৮৫ শতাংশ, মেঘনা পেটের ৭.৪২ শতাংশ, এসকে ট্রিমসের ৫.৫৪ শতাংশ, পেপার প্রসেসিংয়ের ৫.৩৩ শতাংশ, আরএসআরএমের ৫ শতাংশ, ইন্ট্রাকো সিএনজির ৪.৮৪ শতাংশ, নর্দার্ন জুটের ৪.৬৫ শতাংশ এবং খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ৪.৫০ শতাংশ দর কমেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে