সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ওয়ালটন পস্নাজার সচেতনতামূলক কর্মসূচি

নতুনধারা
  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

এ বছর সারাদেশে আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ভয়াবহ ডেঙ্গুর কারণে বহু মানুষ হারাচ্ছেন তাদের প্রিয়জন। এরই প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের মাঝে ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতনতা আরও বৃদ্ধি এবং মশাবাহিত এই মারাত্মক রোগটি প্রতিরোধে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রয় ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন পস্নাজা। কর্মসূচির মধ্যে ছিল জনসচেতনতামূলকর্ যালি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানসহ আলোচনা সভা আয়োজন ইত্যাদি।

'মশার আবাসস্থল ধ্বংস করি, মশামুক্ত বাংলাদেশ গড়ি' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত সোমবার সারাদেশে একযোগে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করে ওয়ালটন পস্নাজা। 'ক্রেতা তুমি আপনজন, ঘোর বিপদেও তোমার আমরা সাথী সারাক্ষণ'- স্স্নোগানে সকাল ১১টায় ৬৪৫টি ওয়ালটন পস্নাজা থেকে দেশের সর্বত্র একযোগে জনসচেতনতামূলকর্ যালি বের করা হয়।র্ যালিতে ডেঙ্গু মশা নিধনের উপায়, ডেঙ্গু থেকে রক্ষার উপায়, ডেঙ্গু হলে করণীয় ইত্যাদি সংবলিত ব্যানার-পস্ন্যাকার্ড এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়।র্ যালি থেকে গণসচেতনতামূলক লিফলেটও বিতরণ করা হয়।র্ যালির পাশাপাশি রাজধানীসহ সারাদেশে ওয়ালটন পস্নাজার সংশ্লিষ্ট এলাকায় আশপাশের ঝোপঝাড়, স্কুল-কলেজ, নির্মাণাধীন ভবনসহ পানি জমে এমন স্থানগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ডেঙ্গু মশার সম্ভাব্য আবাসস্থলগুলো ধ্বংস করা হয়।

শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু সম্পর্কে আরও সচেতন করে তুলতে রাজশাহী, খুলনা, গোপালগঞ্জ, বগুড়া, রাজবাড়ী, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে আলোচনা সভার আয়োজন করে স্থানীয় ওয়ালটন পস্নাজা।

দেশব্যাপী ওয়ালটন পস্নাজার এসব সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষার্থী ও পস্নাজা কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। ওয়ালটন পস্নাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ওয়ালটন পস্নাজা শুধু ব্যবসাই করে না; মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডও পরিচালনা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা মহামারির সময় সারাদেশে ওয়ালটন পস্নাজার মাধ্যমে বিনামূল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ মাস্ক, হ্যান্ড গস্নাভস, সেফটি গগলস, পিপিই সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছিল। এছাড়াও সারাদেশে চলমান ওয়ালটন পস্নাজার 'কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি'র আওতায় ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবারকে ৩২ লাখ টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ বছর ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। আমাদের সবার উচিত সচেতন হওয়া এবং আশপাশের সবাইকে সচেতন করে তোলা। কেউ তার প্রিয়জনকে হারাবে, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই ডেঙ্গু সম্পর্কে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী নানান কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। ভবিষ্যতেও এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বিজ্ঞপ্তি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে