রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার

ডিএসইতে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার লেনদেন

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ১৭-২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রধান সূচকসহ ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে। তবে বেড়েছে শরিয়াহ্‌ সূচক। লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা কমেছে। দৈনিক গড় লেনদেন ৫৯৬ কোটি থেকে কমে ৫৮৫ কোটি টাকায় চলে এসেছে। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট দুই হাজার ৯২৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে মোট দুই হাজার ৯৮১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

সপ্তাহটিতে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৭.৫৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬,২৪৯.২৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্‌ সূচক ০.৭৮ পয়েন্ট বেড়ে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১২.৫৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১,৩৬৫.৪৪ পয়েন্টে এবং ২,০৯৪.৫৮ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ৪০৫টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৪৯টির দর বেড়েছে, ১৩৩টির দর কমেছে, ২০৬টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ১৭টির লেনদেন হয়নি।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সামান্য বেড়েছে। তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৪.৮২ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা ১৪.৭৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের নেতৃত্বে উঠে এসেছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৪০ লাখ ২০ হাজার ৫১২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৬২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫.৫৫ শতাংশ।

লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৮ কোটি ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৪৫২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৫৮ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫.৪১ শতাংশ।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৮ কোটি ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৪৫২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৩০ কোটি ১০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪.৪৪ শতাংশ।

এছাড়া সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সেন্ট্রাল ফার্মার ১০৭ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ৮৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, ইভেন্স টেক্সটাইলের ৮৮ কোটি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ৬৬ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার, সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ৬৬ কোটি ৬৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ইন্দো-বাংলা ফার্মার ৫৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার এবং বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের ৫৪ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবলি মিউচুয়াল ফান্ডের। সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির ইউনিট দর বেড়েছে ৩০ শতাংশ।

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর বেড়েছে ২২.৯৮ শতাংশ, এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ডের ১৬.৪৯ শতাংশ, কহিনূর কেমিক্যালসের ১৬.৪৬ শতাংশ, এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড-১ এর ১৫.৭১ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৩.৪৯ শতাংশ, কে অ্যান্ড কিউয়ের ১১.৭১ শতাংশ, ইভিন্স টেক্সটাইলের ১০.৮৩ শতাংশ, 'রিলায়েন্স ওয়ান' দ্য ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়েন্স ইন্সু্যরেন্স মিউচুয়াল ফান্ডের ১০.১০ শতাংশ এবং খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৯.৬৩ শতাংশ।

সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ২২.৮৪ শতাংশ। সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এমারেল্ড অয়েলের দর কমেছে ১৭.৭৮ শতাংশ, ডমিনেজ স্টিলের ১১.৭৬ শতাংশ, আফতাব অটো মোবাইলসের ১১.৩১ শতাংশ, এসকে ট্রিমসের ১০.২৬ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ১০.১৪ শতাংশ, আজিজ পাইপসের ১০.০১ শতাংশ, ঢাকা ডাইংয়ের ৯.৮০ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের ৯.৫৮ শতাংশ এবং সিমটেস্ক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৬.৯৬ শতাংশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে