মর্জিনা আক্তার তাসলিমা(৩৩) নামে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মোড়া দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
রোববার (১ অক্টোবর) সকাল ৯ টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে শনিবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নে বাগুয়া গ্রামে ওই নারীকে পিটিয়ে আহত করে স্বামী। এ ঘটনায় মর্জিনা আক্তার তাসলিমা স্বামী শফিক মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আটক করে গফরগাঁও থানা পুলিশ ।
নিহত মর্জিনা আক্তার ওই এলাকার শফিক মিয়ার স্ত্রী। মর্জিনা আক্তার তাসলিমা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তিনি দুই সন্তানের জননী।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, শনিবার রাতে স্বামী স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক কলহের জেরে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্বামী শফিক মিয়া মোড়া দিয়ে তাসলিমার ঘাড়ের নিচে স্বজোরে আঘাত করেন। এতে ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাসলিমার পরিবারের লোকজনকে খবর দেয় শফিক মিয়া। পরে তাসলিমার স্বজনরা শফিক মিয়ার বাড়িতে আসে। ওই রাতে তাসলিমাকে চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতেই রেখে দেয়। পরদিন সকাল ৬ টায় তাসলিমাকে নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরে সকাল ৯ টার দিকে হাসপাতালে পৌছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাসলিমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গফরগাঁও থানা (ভারপ্রাপ্ত )কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক আহমেদ ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন , মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। তাসলিমার স্বামী শফিক মিয়াকে আটক করা হয়েছে । অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
যাযাদি/এসএস