মেঘে ঢেকে গেছে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা। মাঝে মাঝেই হচ্ছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। একই সঙ্গে বইছে শীতল বাতাস। সারাদিনেও রোদের আলোর দেখা মেলেনি। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকেই এ মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর মৃদু শীতল বাতাসে বেড়েছে ঠান্ডার প্রভাব। এতে সব চেয়ে বেশি কষ্ট পোহাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
সবেমাত্র শীতকাল শুরু হয়েছে। শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে এসেছে ভোরের শিশির। সারাদিন রোদের তেজ থাকলেও সন্ধ্যার আগেই ঠান্ডার আভাস পাওয়া যায়। রাতের অন্ধকার হওয়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে ঠান্ডা। এর কারণে ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে বাচতে শীতের পোশাক কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সাথে সকল ধরনের পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরম পোশাক কেনা নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবার।
টেকেরহাট বন্দরের পোশাক ব্যবসায়ী মহসিন মিয়া বলেন, সারাদিন সূর্য না ওঠায় এবং গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় আগের থেকে ঠান্ডা একটু বাড়ছে। তবে সে তুলনায় আমাদের বিক্রি বাড়ে নাই। আরেক ব্যবসায়ী রথিন দে বলেন, বেশিরভাগ কাস্টমারই এসে দাম শুনে চলে যায়। কিন্তু ঠান্ডা পড়া সত্যেও মোটা পোশাক তেমন বেচাকেনা হচ্ছে না। গতবারের তুলনায় এই বছর পোশাকের দামটা একটু বেশি।
শীতের পোশাক কিনতে আসা শংকর্দী গ্রামের রনি বলেন, শাকসবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম যেমন বেড়েছে, তেমনি শীতের পোশাকেরও দাম বেড়েছে। এখন যেকোনো কিছু কিনতে গেলেই আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের হিমসিম খেতে হয়। ঠান্ডা বাড়ায় একটা জ্যাকেট কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু বাজেট অনুযায়ী পছন্দ মতো না পাওয়ায় ফিরে যাচ্ছি।
ভ্যান চালক কামরুল ইসলাম বলেন, এর আগে প্রতিদিন সূর্য উঠছে, তাই বেশি শীত লাগে নাই। তবে আজ সকাল থেকেই ঠান্ডা আবহাওয়া ও গুড়ি বৃষ্টি থাকায় বেশি শীত লাগছে।
যাযাদি/এসএস