ভোলার তজুমদ্দিনে জেলে অপহরণের পর বিকাশে মুক্তিপনের টাকা আদায়ের সুত্র ধরে
পুলিশ অভিযান চালিয়ে জলদস্যু বাহিনীর ৪ সদস্যকে আটক করেন। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল হক প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান।
তজুমদ্দিন থানা সুত্রে জানা গেছে, গত ৬ জানুয়ারী রাত ১১টায় চরমোজাম্মেল সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ ধরারত জেলেদের ট্রলারে হামলা চালায় মেঘনার জলদস্যু বাহিনী।এ সময় জলদস্যুরা জেলে ট্রলারে থাকা শরীয়তপুর জেলার সখীপুর থানার তারাবুনিয়া এলাকার জেলে আঃ হাই (৫০) ও মো. ইউসুফ আলী (৪৫) নামের দুই জেলেকে অপহরণ করে নোয়াখালীর দিকে নিয়ে যায়। মোবাইল ফোনে জলদস্যুরা আড়ৎদারের নিকট ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে।
জলসদ্যুদের দাবী অনুযায়ী মুক্তিপণের ১ লক্ষ টাকা বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে পরিশোধ করলে অপহরণকৃত জেলেদের ছেড়ে দিলে আড়তদারা যোগাযোগ করে ৭ তারিখ বিকাল ৪টায় হাতিয়া থানার তমুরউদ্দিন ঘাট হতে উদ্ধার করে তজুমদ্দিনে নিয়ে আসেন।
এঘটনায় শশীগঞ্জ সুইজঘাটের আড়ৎদার মোঃ সেলিম বাদী হয়ে ১০ জানুয়ারী তজুমদ্দিন থানায় অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং ০৩।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামী লোকমান মাঝিকে সনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করলে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তজুমদ্দিন-মনপুরা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাসুম বিল্লাহ’র নেতৃত্বে তজুমদ্দিন থানার ওসি তদন্ত শংকর তালুকদার ও এসআই মোঃ রাশেদুল ইসলাম চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করে ফোরকান বাহিনীর আরো ৩ জলদস্যুকে আটক করেন। আটককৃত জলদস্যুরা হলেন, লোকমান মাঝি (৩২), রিয়াজ (৩১), মোঃ কালাম হোসেন (৩০) ও মোঃ মিরাজ (৩০)।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল হক প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানান, আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। দস্যুতার কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রলার ও নগদ ৩২০০ টাকা জব্দ করা হয়।জব্দকৃত ট্রলার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
যাযাদি/এসএস