ভোলার তজুমদ্দিন থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কালে অপহৃত দুইজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের সৃষ্টিধরগুহ সাকিনের সরকারী আবাসনের পূর্ব দিকে বেরিবাঁধ এলাকায় এঘটনা ঘটে।

থানা ও মামলার সুত্র জানায়, চরফ্যাসন থানাধীন সামরাজ মৎস্য ঘাটে মাছের আড়ৎদারের মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে ব্যবসা করেন বোরহানউদ্দিনের রিয়াজ ও শাকিল এবং তজুমদ্দিনের নাগর মাঝি। ব্যবসায়িক লেন দেনের সুত্রে আনোয়ার ও আমিনুল মোটরসাইকেল যোগে বোরহানউদ্দিন থানাধীন খাসমহল বাজারে যাওয়ার সময় কয়েকজন মিলে তজুমদ্দিনের সৃষ্টিধরগুহ সরকারী আবাসনের পূর্ব দিকে বেরিবাঁধের উপর পৌঁছা অবরুদ্ধ করে আনোয়ার ও আমিনুলকে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর মোবাইলে যোগাযোগ করে ব্যবসায়ীদের স্বজনের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে।

তজুমদ্দিন থানা পুলিশ ঘটনার বিষয় সংবাদ প্রাপ্তীর পর সহকারি পুলিশ সুপার, তজুমদ্দিন-মনপুরা সার্কেল মাসুম বিল্লাহ সাহেব এর নেতৃত্বে, পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) শংকর তালুকদার তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত আসামীদের মধ্যে হইতে এজাহার নামীয় আসামী ১। ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার মুলাইপত্তন গ্রামের ছলেমান ছেলে মোঃ রিয়াজ (২৫) কে গ্রেফতার করেন এবং বাদী মোঃ আনোয়ার হোসেন ও ভিকটিম আমিনুল ইসলামকে উদ্ধার করেন।

আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংঘাত এখন প্রকাশ্যে

পরবর্তীতে থানা পুলিশের সহায়তায় বাদী ও ভিকটিম আনোয়ার হোসেনক তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

মামলাটি তদন্তকালীন সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শংকর তালুকদার সংগীয় ফের্সের সহায়তায় চট্টগ্রাম অভিযান পরিচালনা করিয়া ঘটনায় জড়িত অপর আসামী ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার উত্তর চাপড়ী গ্রামের মোঃ মফিজল ছেলে শাকিল (২১), একই জেলার চকডোষ (আক্কাগো বাড়ী) গ্রামের মতিউর রহমান ছেলে নাগর মাঝি (৪৫) কে গ্রেফতার পূর্বক তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

যাযাদি/ এম