সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাকের ধাক্কায় মুহুরি নিহত, প্রতিবাদে আগুন, পুলিশের সাথে সংঘর্ষ

কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
  ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫২
ট্রাকের ধাক্কায় মুহুরি নিহত, প্রতিবাদে আগুন, পুলিশের সাথে সংঘর্ষ

মাদারীপুরে বালু বোঝাই ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় জজ কোর্টের মুহুরি নিহতের ঘটনায় ট্রাকে আগুন দিয়েছে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় এলাকাবাসী। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন ৭ জন।

আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে কালকিনি-ভুরঘাটা সড়কের দক্ষিণ রাজদি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নেছারউদ্দিন হাওলাদার ৮ বছর ধরে মাদারীপুর জজ কোর্টে মুহুরির দায়িত্ব পালন করে আসছে। তিনি কালকিনির পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মিনাজদি গ্রামের কাদের হাওলাদারের ছেলে। সংসারে স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে তার।

স্বজন, এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, নিজ বাড়ি কালকিনি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মিনাজদি থেকে মোটরসাইকেলযোগে জজ কোর্টে যাচ্ছিল নেছারউদ্দিন হাওলাদার। দক্ষিণ রাজদি এলাকায় আসলে পেছন থেকে আসা একটি বালু বোঝাই ড্রাম ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হয় জজ কোর্টের মুহুরি নেছারউদ্দিন। পরে উদ্ধার করে তাকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক নেছারউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি আশা-পাশে এলাকায় জানাজানি হলে উত্তেজিত জনতা ড্রাম ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ফায়ার সার্ভিস ও কালকিনি থানা পুলিশ। প্রথমে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সাথে উত্তেজিত জনতার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয়রা। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন ৭ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। পরে মাদারীপুর জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

পথচারী আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ইজিবাইকযোগে কালকিনি যাচ্ছিল। সাথে পরিবারের সবাই ছিল। হঠাৎ সড়কে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয়রা। ড্রাম ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দিলে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

কালকিনি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার খোকন জমাদ্দার বলেন, ড্রাম ট্রাকের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে প্রথমে স্থানীয়রা আমাদের ওপরে ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে। পরে পুলিশ আসলে তাদেরও ইট মারে। আগুন নেভানোর আগেই ট্রাকটির অনেকাংশ পুড়ে যায়।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান জানান, উত্তেজিত জনতাকে থামাকে গেলে তারা পুলিশের উপরে চড়াও হয়। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে