রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ময়দানে সামিয়ানা নির্মানের চট সংকট, মুসল্লিদের সামিয়ানা আনার পরামর্শ

গাজীপুর প্রতিনিধি
  ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৫
ময়দানে সামিয়ানা নির্মানের চট সংকট, মুসল্লিদের সামিয়ানা আনার পরামর্শ

টঙ্গীতে তুরাগ তীরে আয়োজিত এবার বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের কিছু অংশ চট দিয়ে প্যান্ডেল করা হলেও বিশাল এলাকাজুড়ে সোমবার পর্যন্ত ফাঁকা রয়েছে। সেখানে শুধু বাঁশের খুটি পুঁতে রাখা হয়েছে।

সোমবার সকালে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরের ইজতেমা মাঠে বিশাল এলাকাজুড়ে বাঁশের খুঁটি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও তাতে ছিল না চটের ছাউনী।

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমা শুরুর বাকি আর মাত্র তিনদিন। এখনো ইজতেমা পুরোপুরি তৈরি হয়নি। মাঠের একটা বিরাট অংশে এখনো টানানো হয়নি শামিয়ানা।

ইজতেমার মুরুব্বী প্রকৌশলী আব্দুর নূর বলছেন, গত বছর সা’দ অনুসারিদের মাঠ হস্তান্তরে বিলম্ব হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ময়দানে টানানো অবস্থায় ছিল। পরে রোদ-বৃষ্টিতে প্যান্ডের সিংহভাগ চট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবার চট সংকট দেখা দিয়েছে। এ চটসংকট থাকায় এবার পুরো মাঠে ছটের শামিয়ানা টানানো সম্ভব হয়নি। তাই ইজতেমার মুরুব্বীদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন জেলা থেকে বিশ্ব ইজতেমাস্থলে আগত তাবলিগ জামাতের মুসল্লিদের নিজ দায়িত্বে শামিয়ানা এনে টাঙ্গানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

এখন মুসল্লিরা এলেই পুরো মাঠ প্রস্তুত হয়ে যাবে। সোমবার রাতেই জেলাওয়ারী খিত্তায় (অবস্থান) সামিয়ানা টানানোর জন্য তাবলীগ কর্মীরা আসবেন। এছাড়াও পাহারা ও খিত্তাসহ বিভিন্ন নজমের কর্মী/সাথীরাও সোমবার রাতে ইজতেমাস্থলে চলে আসবেন। আর বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলার চিল্লাধারী মুসুল্লী ইজতেমার ময়দানে চলে আসবেন।

সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে বিদেশি মেহমানদের জায়গা, রান্নার জায়গাসহ অন্যান্য স্থাপনা। বিদেশি মেহমানখানার পাশেই তৈরি করা হয়েছে বয়ানের মঞ্চ। মঞ্চের সামনে কয়েক একর জায়গায় টানানো হয়েছে চটের সামিয়ানা। এর বাইরে পুরো মাঠে শুধু বাঁশ পুঁতে রাখা হয়েছে। মাঠে ইজতেমার মুসুল্লীরা এখনও পুরোপুরি আসেনি। তবে কিছু সংখ্যক মুসুল্লীকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ইজতেমা ময়দানের শেষ মুহুর্তের টুকটাকি সারতে দেখা গেছে।

মাঠের উত্তর-পূর্ব পাশে কথা হয় চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা তাবলিগের সাথি ষাটোর্ধ্ব মো. মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, ৪৪ বছর ধরে ইজতেমায় অংশ নিচ্ছি। এবারই প্রথম মুসল্লিদের নিজ দায়িত্বে সামিয়ানা নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। প্রতিটি জেলার জন্য ১৮ ফুট প্রস্থ ও ৩৬ ফুট লম্বা জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাবলিগের সাথিরা ইজতেমা শেষে আবার নিজ দায়িত্বে তাদের এ সামিয়ানা খুলে নিয়ে যাবেন।

তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে আলাদাভাবে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী পক্ষ মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা পালন করবেন ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি। চার দিন বিরতির পর সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি। সে হিসাবে এখন মাঠ প্রস্তুতির কাজ করছেন মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা।

সামিয়ানার বিষয়ে জানতে চাইলে মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরুব্বী মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘ইজতেমা মাঠের আগের চটগুলো নষ্ট হয়ে গেছে, ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ কারণে চটসংকট দেখা দিয়েছে। আমরা মুসল্লিদের নিজ নিজ দায়িত্বে শামিয়ানা নিয়ে আসতে বলেছি। ৬৪ জেলার মধ্যে ৪০ জেলার মুসল্লিদেরই নিজেদের সামিয়ানার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। তাঁরা এলেই পুরো মাঠে সামিয়ানা টানানো হয়ে যাবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে