রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচনে প্রচারণায় নগরী

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা
  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৮
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচনে প্রচারণায় নগরী

প্রতীক পাবার পর থেকেই নির্বাচনি প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে কুমিল্লা নগরী। পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে –নগরীর গুরুত্বপূর্ণ-জনবহুল এলাকা। দুপুর দুইটার পর থেকেই প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণার মাইকিংয়ে নির্বাচনি আমেজ বাড়িয়ে দিচ্ছে। উপ- নির্বাচন শুধু মেয়র পদে হওয়ায় চার জন প্রার্থীই চষে বেড়াচ্ছেন পুরো নগরী। সকাল থেকে সন্ধ্যা গণসংযোগ প্রচার-প্রচারণা ও উঠান বৈঠকে সময় পাড় করছে প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকেরা।

রবিবার সকালে নগরীর রাজগঞ্জ বাজারে প্রচারণা করেন বিএনপি নেতা টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কু। তিনি এসময় বাজারের সকল দোকানদার ও ক্রেতাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের কাছে ভোট চান। এসময় মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমিও মেয়র ছিলাম, কখনো এমন হয় নি। কুমিল্লা নগরীর মানুষ অটোরিকশা-ইজিবাইকের টোকেন ও চাঁদায় অতিষ্ঠ। আমি মেয়র হলে- এসব বন্ধ করবো।

নগরীর রেইসকোর্স এলাকায় গণসংযোগ করে ভোট চান বাস প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেত্রী তাহসীন বাহার সূচনা। এসময় তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়ন না থাকলেও আমি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগসহ সকল অংগ ও সহযোগি সংগঠনগুলোর একটি বিশাল ইউনিট আমার সাথে আছে। এখানে মুরুব্বিরাও আছেন, আমার রাজনৈতিক সহযাত্রীরাও আছেন। দলীয় প্রতীক না থাকলেও আমার দল আমার সাথে আছে- আমার জয় নিশ্চিত।

এছাড়া কুমিল্লা নগরীর সাহাপাড়া এলাকায় গণসংযোগ করেন নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম। এসময় তিনি ভোটারদের বলেন, কুমিল্লার উন্নয়নের স্বার্থে পরিবর্তন দরকার। আর উন্নয়নের জন্য আপনারা আমাকে ভোট দিন। আমি কুমিল্লার মানুষের পাশে সব সময় থাকবো।

প্রচার-প্রচারণার শুরুতেই নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় সাংবাদিকদের ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, খালি সাইন বোর্ডের পরিবর্তন ছাড়া কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনেরে তেমন কোন পরিবর্তন হয় নাই। আর যা ই হয়েছে, একটি কাজকে ভেঙ্গে পুনরায় করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনে কাজের ভাগ বাটোয়ারা ছাড়া কিছু হয় নাই।

এদিকে কুমিল্লা সিটি উপ- নির্বাচনে আচরণ বিধি পর্যবেক্ষণের জন্য ২৭টি ওয়ার্ডে ৯ জন ম্যাজিষ্ট্র্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। ম্যাজিষ্ট্রেটগণ প্রচার-প্রচারণা শুরু হবার পর থেকে সকল প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করবেন। আচরণবিধি অমান্য করলে নির্বাচনি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রিটানিং কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ হোসেন।

২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে জোরেশোরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও উঠান-বৈঠক পথ সভার মধ্য দিয়ে জমজমাট হয়ে উঠছে নির্বাচনি পরিবেশ। প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠানেই রিটার্নিং কর্মকর্তা সকল প্রার্থীদের সতর্ক করে জানান, কেউ সরকারি স্থাপনা ব্যবহার করে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না। কোন সরকারি কর্মকর্তা প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। উঠান বৈঠক বা পথ সভার ২৪ ঘন্টা আগে পুলিশকে জানাতে হবে। প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে মাইক দুপুর দুইটার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। এসময় রিটানিং কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কে কোন দলের তা দেখা হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশন সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে