শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নকলায় ভুট্টার বাম্পার ফলন, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১০৩ হেক্টর বেশি আবাদ

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৮

শেরপুরের নকলায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা অর্জনে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। লাভজনক এই ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর কৃষকদের সার বীজ ও কৃষি প্রনোদনাসহ পরামর্শ সহায়তা দিয়ে কৃষকদের উৎসাহী করছে; ফলে দিন দিন কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ও ১ পৌরসভার মধ্যে চন্দ্রকোনা, নারায়নখোলা ও পাঠাকাটা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভুট্রার আবাদ হয়েছে।

এ উপজেলায় ক্ষুদ্র ও প্রাান্তিক কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের ভুট্টা আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেছে। মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি মাছ, হাঁস-মুরগী ও গো-খাদ্য হিসেবে ভুট্টার ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এর চাহিদাও বেড়েছে অনেক বেশি। ভুট্টা গাছের পাতা সুষম গো-খাদ্য এবং কান্ড জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, ফলে একদিকে যেমন কৃষক তার গবাদি পশু পালন ও জ্বালানি চাহিদা মেটাতে পারে অপরদিকে বাজারে ভুট্রার ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষক এ ফসলে আগ্রহী হয়ে উঠছে। আর তাই উপজেলার অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিগুলোতে এখন ব্যাপক ভুট্টার চাষাবাদ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতবছর ভুট্রার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬০০ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ২১০৩ হেক্টর। এ বছর ২১২৭ হেক্টর জমিতে ভুট্রার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে ২২৩০ হেক্টর। যা গত বছরের চেয়ে ১২৭ হেক্টর বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অর্জিত ১০৩ হেক্টর বেশি। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এ বছর ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ধান ও অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশী লাভ হওয়ায় কম খরচে অধিক মুনাফার আশায় বিকল্প ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষে ঝুঁকছে এ উপজেলার কৃষকরা।

ধুকুরিয়ার গ্রামের ভুট্টা চাষি মোক্তার হোসেন, পাঠাকাটা এলাকার এএফএম মনিরউজ্জামান, কুর্শাবাদাগৌর এলাকার মনিরুল ইসলাম, বারমাইসার শওকত আলী, নকলা উত্তর এলাকার ফজলুল হক যায়যায়দিনকে বলেন, এখানকার মাটি ভুট্টা চাষের উপযোগী হওয়ার আমাদের ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়। ভুট্টার ফলন ভালো হওয়ায় এবছর আরও অধিক জমিতে আমরা ভুট্টার আবাদ করেছি। আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় ভুট্টার প্রচুর আবাদ হয়। ভুট্টার ফলনও অনেক হয়, দামও ভালো পাওয়া যায়। ভুট্টা চাষে খরচ অনেক কম ও লাভ অনেক বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী যায়যায়দিনকে বলেন, নকলা উপজেলায় এ বছর ৯৫০ জন কৃষকের মাঝে প্রনোদনা হিসেবে ভুট্রা বীজ ও সার দেওয়ায় ভুট্রা চাষের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছেন। এর পাশাপাশি ১৮জন ভূট্রা চাষীকে প্রদর্শনীও দেওয়া হয়েছে। কম খরচে বেশি লাভের আশায় কৃষকরা এবার বোরো ধানের জমিতে আগাম জাতের ও অধিক ফলনশীল পুষ্টি সমৃদ্ধ দানাদার জাতীয় ভুট্টা চাষ করছেন। বাজারে ভালো দাম ও চাহিদা রয়েছে। জমিতে রোগবালাই দমনের জন্য মাঠপর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে