সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

 চিতলমারীতে লবণে শেষ হচ্ছে বোরো ফসল

চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
  ০৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৮
 চিতলমারীতে লবণে শেষ হচ্ছে বোরো ফসল

আর মাত্র দু’মাস বাদে চাষিরা ঘরে তুলবেন বোরো ফসল। আর এ ফসলকে ঘিরে নানা স্বপ্ন তাদের। কিন্তু সে স্বপ্ন এখন তাদের ম্লান হতে চলেছে। লবণ পানির কারণে বাগেরহাটের চিতলমারীতে চাষিদের ক্ষেতের শত একর বোরো ফসল নষ্ট হবার উপক্রম। ফলে চাষিদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

স্থানীয় বোরো চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চিতলমারী সদর ইউনিয়নে অবস্থিত চিত্রাপাড়ের মিনি সুন্দরবনের আশ-পাশের বিল ও চিংড়ি ঘেরের জমিতে ব্যাপক ভাবে বোরো আবাদ করা হয়েছে। বিগত বছরে এখানকার জমিতে বাম্পার ফসল হলেও এ বছর লবণ পানির প্রভাবে শত শত একর জমির ফসল নষ্ট হতে চলেছে। যার ফলে চাষিরা এখন দিশেহারা। চাষিরা ফসল রক্ষার জন্য নানা ধরণের বালাই নাশক স্প্রে করছেন। কিন্তু এতে সুফল মিলবে কিনা সে ব্যাপরে সন্দিহান।

উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের চাষি গোপাল বালা জানান, তিনি ৩ একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। এছাড়া একই গ্রামের বিমল বালা ২ একর, বঙ্কিক বিশ্বাস ২ একর ও পাড়ডুমুরিয়া গ্রামের পরিতোষ হালদার দেড় একরসহ অসংখ্য চাষিরা জমি আবাদ করেছেন। কিন্তু এখন তাদের জমির ফসল অতিরিক্ত লবণের কারণে রাতারাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

চাষি বিমল বালা হতাশা ব্যক্ত করে জানান, বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও ও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অধিক মুনাফায় টাকা এনে চাষাবাদে ব্যয় করেছি কিন্তু এখন কিভাবে দেনা শোধ করব ভেবে পাচ্ছি না। এছাড়া এলাকার লোকে সারা বছরের খাবার ঘরে তোলে বোরো আবাদের মাধ্যমে। এ বছর যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে তাতে কি খেয়ে বেঁচে থাকব কিছুই ভেবে পাচ্ছি না।

এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য শেখ কিসমত হোসেন জানান, প্রতি বছর এক শ্রেণীর প্রভাবশালীরা নিজেদের স্বার্থে স্লুইসগেট দিয়ে লবণ পানি বিলে ঢুকানের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি নজরে এনে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার সিফাত আল মারুফ জানান, যে সকল এলাকায় চাষিদের জমিতে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তিনি সরেজমিনে ঘুরে দেখেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে খালের পানি সেচ ও কীট নাশক স্প্রে করতে পরামর্শ দিয়েছেন।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে