রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

কুমড়া গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২২ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৬
কুমড়া গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় বাণিজ্যিকভিত্তিতে চাষ করা এক কৃষকের প্রায় ২৫ শতাংশ জমির মধ্যে ৮/৯ শত কুমড়া গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই কৃষক ও তার পরিবার।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের রামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই কৃষকের নাম মিজানুর রহমান নবাউল্লাহ। তিনি রামপুর গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২৫ শতাংশ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ৮/৯ শত কুমড়া গাছের চারা রোপণ করেন কৃষক মিজানুর রহমান নবাউল্লাহ। কুমড়া গাছ ফুল ও ফল আসতে শুরু করেছে। কিছু কুমড়া গাছে কুমড়া বড় আকার হচ্ছে।

কৃষক মিজানুর রহমান নবাউল্লাহ কুমড়া বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এরই অংশ হিসেবে সকালে কুমড়া ক্ষেতে যান তিনি। তখন তিনি দেখেন দুই-একটা কুমড়া গাছ মরার মতো হয়ে গেছে। পরে খেয়াল করে তিনি দেখেন পুরো ক্ষেতের কুমড়া গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলা হয়েছে। পরে তিনি স্থানীয়দের জানালে বিষয়টি পুরো গ্রামে জানাজানি হয়। অনেকেই ঘটনাস্থলে এসে কুমড়া ক্ষেতের অবস্থা দেখেন। কৃষকের এমন ক্ষতি দেখে তারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

স্থানীয় ওই গ্রামের বাসিন্দা ও সমাজকর্মী মোজাম্মেল হক নীরব জানান, কৃষক মিজানুর রহমান নবাউল্লাহ একজন সহজ-সরল মানুষ। তিনি কারো ক্ষতি করেননি। তার ক্ষেতের সব কুমড়া গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। তার কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেলো। কুমড়া গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা। তার এলাকায় আরেক জন কুমড়া চাষি কৃষক মো. রফিক জানান, এসব সবজি চাষ করেই নবাউল্লহ বাজারে পাইকারি বিক্রি করে জীবিকা নির্বর করে। তার এই ক্ষতি অপূরনীয়।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিজানুর রহমান নবাউল্লাহ জানান, সকালে কুমড়া ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায় সব কুমড়া গাছ কেটে ফেলেছে। সবেমাত্র কুমড়ার আকার বড় হচ্ছে। গাছের কুমড়া আর বিক্রি করতে পারলাম না। আমার সর্বনাশ হয়ে গেলো। এ সময় তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে আল্লাহর কাছে এ ক্ষতির বিচার চান।

এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মো. মিজানুর রহমান নবাউল্লাহ হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্য মন্ডল এর কাছে গিয়ে বিষয় টি জানান এবং সুবিচার প্রার্থনা করেন।

বিষয়টি হোসেনপুর উপজেলা কৃষি অফিসার এ কে এম শাহজাহান কবির কে জানালে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মো. মিজানুর রহমান নবাউল্লাহ বলেন, সুবিচারের জন্য হোসেনপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ ও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তের জন্য নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদ বরাবর একটি আবেদন করা পরামর্শ দেন।

ওই কৃষকের কুমড়া ক্ষেতের বিষয়টি প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও স্থানীয় লোকজনের।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে