সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাচোলে অধ্যক্ষ পদে পরীক্ষার দিন মাদরাসায় তালা দিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লাপাত্তা 

নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২৩ মার্চ ২০২৪, ১২:১৯
নাচোলে অধ্যক্ষ পদে পরীক্ষার দিন মাদরাসায় তালা দিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লাপাত্তা 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বেগম মহসীন ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও উপধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষার দিনে তালা দিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লাপাত্তা। পরীক্ষার্থীরা ফিরে গেলেন।

প্রার্থীরা জানান, বেগম মহসীন ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে ২২ মার্চ শুক্রবার নির্ধারিত সময়ে প্রার্থী নিয়োগ নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য মাদরাসায় গিয়ে দেখেন প্রধান ফটকে তালামারা।পরীক্ষা স্থগিত বা এ সংক্রান্ত কোন নোটিশও দেখতে পাননি। এমনকি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মুসা স্বাক্ষরিত ২৩/২৪(৭) নং স্মারক ও ০৭ নং ক্রমিকের অধ্যক্ষ পদের প্রার্থী গোমস্তাপুর উপজেলার পুরাতন প্রসাদপুর গ্রামের মেসের আলীর ছেলে শরীফুল ইসলাম।

২৩/২৪(৪) স্মাসরপত্র ও ০৪নং ক্রমিক নম্বরের নাচোল উপজেলার ঝলঝলিয়া গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে তোজাম্মেল হক ও ২৩/২৪(০২) স্মারকপত্রে একই উপজেলার পূর্ব মির্জাপুর গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে আমিরুল ইসলাম।

প্রার্থীরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মুসাকে মোবাইল ফোনে মাদ্রাসার প্রধান গেটে তালা মারার বিষয় জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মুসার সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, অত্র মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাও. ইসাহাক গত ২৩/১১/২০২৩ তারিখ অবসরে যান। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি ২৪/১১/২০২৩ তারিখ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বর্তমান সভাপতি আজিজুল হক তার প্রতি জুলুম অত্যাচার শুরু করেন। গত ১৪ মার্চ সকাল ১০টার দিকে সভাপতি তাঁর লোকজন নিয়ে মাদরাসাতে তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত রেজুলেশনসহ অন্যান্য কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন।

এর প্রেক্ষিতে ওইদিন আরবি-ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সভাপতির পরিবর্তন, ডিজি’র প্রতিনিধি মনোনয়ন ও নিয়েগ-নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছেন। ওই ঘটনায় গত ২১ মার্চ/’২৪ তারিখ নাচোল থানায় একটি জিডিও করেছেন।

এ বিষয়ে ওই মাদরাসার সভাপতি এবং অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে নিয়েগ কমিটির সভাপতি আজিজুল হক জানান, শুক্রবার ২২মার্চ নির্ধারিত সময়ের পূর্বে মাদরাসায় গিয়ে দেখেন প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে।

এ অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মোবাইলে ফোন করলে অধ্যক্ষ তাঁর ফোন রিসিভ করেননি। অন্যদিকে অধ্যক্ষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে রেজুলেশনসহ অন্যান্য কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো নাটক বলে তিনি দাবী করেন।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে