রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মেঘনায় ভ্রমন তরী ডুবিতে দুই পরিবারে ৭ জন নিখোঁজ

ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮
মেঘনায় ভ্রমন তরী ডুবিতে দুই পরিবারে ৭ জন নিখোঁজ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনায় ভ্রমনতরী ডুবিতে দুই পরিবারে ৭জন নিখোঁজ নিখোঁজ হয়েছেন,ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্য মো.সোহেলের পরিবারের ৪জন ও পৗর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দে পরিবারের ৩জন। পুলিশ সদস্য মো.সোহেলের পরিবারের নিখোঁজরা হলেন, পুলিশ সদস্য মো.সোহেল (৩২), মেয়ে মাহমুদা সুলতানা (৭), ছেলে রায়সুল (০৫), স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৬)। ঝন্টু দে পরিবারের নিখোঁজরা হলেন, স্ত্রী রুপা দে (৩০), তার ভাইয়ের শিশু কন্যা আরাদ্দ (১২), বোন জামাই বেলন দে (৩৮)। আজ শনিবার দুপুরের দিকে নিখোঁজর পুলিশ সদস্য মো.সোহেলের স্ত্রী মৌসুমী বেগম ও ঝন্টু দে ছোট ভায়ের মেয়ে আরাদ্দর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরা পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসে এই মর্মমান্তি দুঘটনার শিকার হন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ভৈরব সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বালুবাহী বলগেটের ধাক্কায় ভ্রমন তরী ডুবির ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা যায়, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় রোজার দিনের বিকেল বেলায় অবকাশ যাপনের জন্য পুলিশ সদস্য মো. সোহেল পরিবারের তিন সদস্য ও ভাগ্নে মারিয়া আক্তারকে নিয়ে ভৈরব ত্রিসেতু এলাকায় ঘুরতে যান। সেখানে ঘুরাঘুরির সময়ে মেঘনা নদী ভ্রমণের জন্য ঘাট থেকে একটি ভ্রমণ তরীতে উঠেন। তারপরই তাদের ভ্রমণ তরী যখন মেঘনা নদীর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর তৃতীয় পিলার নিকট উল্টো দিক থেকে আসা একটি পাথরবাহী বড় নৌকার ধাক্কায় সাথে সাথে ঘটনাস্থলেই ভ্রমণ তরীটি নদীতে ডুবে যায়।

এ বিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মো. সাজু মিঞা জানান, ছুটির দিনে স্ত্রী সন্তান ভাগ্নেকে নিয়ে ভৈরব সেতু এলাকায় ঘুরতে যান। সেখান থেকে মেঘনা নদীতে ভ্রমণের জন্য নৌকায় চড়ে সে সময়ে হঠাৎ একটি পাথরবাহী বলগেট নৌকার ধাক্কায় মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। তাদের মধ্য থেকে ভাগ্নে মারিয়া নদী সাঁতারিতে প্রাণে বেঁচে ফিরেন। কিন্তু বাকীরা কেউ তীরে ফিরতে পারেননি। একই পরিবারের চার সদস্য নিখোঁজ রয়েছে। তাদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম চলছে বলে তিনি জানান।

নিখোঁজ রুপা দে স্বামী ঝন্টু দে বলেন, আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন আত্মীয় স্বজন তাদেরকে নিয়ে সেতু এলাকায় ঘুরতে যান। আমার স্ত্রী, সন্তান, ভাস্তি, বোন জামাই সবাই মিলে নৌকায় চড়ে মেঘনা নদীতে ভ্রমণের সময় মাঝ নদীতে হঠাৎ বালুবাহী একটি বল্কগেটের ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় আমার মেয়ে চুইঁতি নদী সাতঁরিয়ে তীরে উঠতে পারলোও আমার স্ত্রী, ভাস্তি, বোন জামাই তীরে উঠতে পারেনি। এখনো নিখোঁজ স্বজনদের সন্ধানের অপেক্ষায় সময় পার করছি। কখন তাদের সন্ধান মিলবে।

নিখোঁজদের আরেক স্বজন মিন্টন দে বলেন, ইফতারের পরই খবর পেলাম মেঘনা নদীতে নৌকা ডুবেছে। এতে নাকি আমার ভাই স্ত্রী তার সন্তান, বোন জামাইকে খ্ুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

একসাথে তিন স্বজনকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন তিনি।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে