শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মানবিক সহায়তায় মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মনোয়ারা 

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৯

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মানবিক সহায়তায় মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মনোয়ারা। অথচ কদিন আগেও ছিল ঠিকানাহীন। তাড়াশ বাসস্ট্যান্ডের একটি বন্ধ দোকানের সামনে দিনে ভিক্ষা করতেন, রাতে শুয়ে থাকতেন। বিশেষ করে নির্দিষ্ট কোন থাকার জায়গা না পেয়ে বসে বসে কাঁদতেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে ঘর হস্তান্তর করেন স্থানীয় সাংবাদিক ও উন্নয়ন কর্মী গোলাম মোস্তফা। মনোয়ারা (৫১) সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের সিলনদহ গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ ও জামেলা খাতুনের মেয়ে। তার বিয়ে হয়েছিল শাহজাদপুর উপজেলার তালগাছি গ্রামের জসিমদ্দীর সাথে। তার বাবা-মা ও স্বামী কেউ বেঁচে নেই। তাই মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় তাড়াশ বাসস্ট্যান্ডের একটি বন্ধ দোকানের সামনে দিনে ভিক্ষা করতেন আর রাতে ওখানেই শুয়ে থাকতেন। সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী গোলাম মোস্তফার প্রচেষ্টায় তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটু খালি জায়গাতে তার একখানা নতুন টিনের দোচালা ঘর তোলে দেয়া হয়। সেখানে তার মত অসহায় আরো অনেকে বসবাস করেন।

এদিকে ঘর পেয়ে মহাখুশি মনোয়ারা। ঘরের কাজ সম্পূর্ণ করতে সময় লাগে তিনদিন এই তিনদিন সে ঘরের পাশে বসে থেকেছেন। চোখে না দেখলেও টিনের ঘর তৈরির শব্দ যেন তাকে এক সুখের অনুভূতির ছোঁয়া দিচ্ছিল। কেউ জিজ্ঞেস করলে হেসে বলে উঠতেন ‘ আমার ঘর তৈরি হচ্ছে’। খুব বেশী নয়, একটু মানবিক সহায়তা একজন অসহায় মানুষকে যে কী সুখ বয়ে এনে দিতে পারে মনোয়ার মুখের হাসি তা বলে দেয়।

সাংবাদিক ও উন্নয়ন কর্মী গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরাই পারি মনোয়ারাদের জীবন বদলে দিতে। মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সহায় সম্বলহীন নারীর স্বপ্নের নীড় তৈরি করে দিতে পেরেছি। এ মহতী কাজে মূলত নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন তাড়াশ ইসলামিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বিএসসি। এবিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এ কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, মানুষের মানবিক সহায়তা এক মনোয়ারা নয়, বরং মনোয়ারাদের মত আরো অনেকের দুঃসহ জীবন খুব অল্প সময়ে বদলে দিতে পারে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে