মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ধামরাইয়ে শ্রমিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১৬

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
  ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৫
ধামরাইয়ে শ্রমিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১৬

ঢাকার ধামরাইয়ে বেতন বোনাস না দিয়ে রাতের আঁধারে কারখানা বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদ করায় কারখানার ভেতর আটকিয়ে শ্রমিকদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।

এতে ৩ অন্তঃসত্ত্বা নারী শ্রমিকসহ আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৬ জন। এদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে শ্রমিকরা জানান।

এঘটনায় কারখানা চত্ত¡রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল বারী জানান,শ্রমিকরাই আমাদের ওপর হামলা করেছে।

জানা গেছে, ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের ধামরাই কালামপুর সড়কের পাশে ওডিসি নামে গামের্ন্টস কারখানায় প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক কাজ করেন। ওই কারখানা মালিক বেতন বোনাস না দিয়ে অঘোষিত ভাবে রাতের আঁধারে কারখানা বন্ধ করে দেন এবং মালিক পক্ষই শ্রমিক আসার আগে কারখানায় পুলিশ মোতাযেন করেন।

সকালে শ্রমিকরা কাজে গেলে গেটে তালা দেখতে পান। এসময় তারা ব্ক্ষিুদ্ধ হয়ে পড়েন এবং গেট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন।এতে শিল্প পুলিশ কৌশলে শ্রমিকদের কারখানার ভেতর ডেকে নিয়ে গেট আটকিয়ে শ্রমিকদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ ও লাথি মারতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে পুলিশ জল কামান ব্যবহার করেন।

এঅবস্থা দেখে অনেক শ্রমিক গেটের উপর দিয়ে উঠে বাহিবে আসেন। পুলিশ ও তাদের ধাওয়া দেয়। এতে কারখানার প্রায় ১৬ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে অন্ঃসত্ত্বা সামছুনাহার ও সাথীর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

কারখানার শ্রমিক রোজিনা আক্তার কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, পুলিশ কর্মকর্তার পায়ে ধরে বলেছি অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারবেন না। তার পেটে বাচ্ছা কিন্তু মানেনি তারা।তারপরও পেটে মধ্যে ব্যাপক লাথি মেরেছে। গরম পানির কারনে অনেক শ্রমিকের হাত ঝলসে গেছে এক নারী শ্রমিকের পা ভেঙ্গে গেছে।

এভাবে ১৬ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হন। আর অন্তঃসত্ত্বা নারী বাচ্ছা পেটে মারা যেতে পাওে বলে জানান তিনি।

ওডিসি কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মালিকের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের কাল (৪ এপ্রিল ) বোনাস দেয়া হবে। তারপর বেতন।আর মারধর করার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল বারী সাংবাদিকদের কাছে হালকা লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করার কথা স্বীকার করেছেন। তবে শ্রমিক আহত হয়েছে কিনা তা তিনি জানেনা বলে জানান।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে