রাজনগর উপজেলা বিএনপি তিন ভাগে বিভক্ত ছিল। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দলটির বেশিরভাগ নেতাকর্মী দীর্ঘদিন ধরে ছিলেন নিষ্ক্রীয়।
বিভক্ত বিএনপি তাই প্রায় ১৫ বছর ধরে কেন্দ্র ঘোষিত বেশিরভাগ কর্মসূচী পালন করতে পারেনি। আবার কখনো কখনো কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালন করলে পৃথক পৃথক কর্মসূচী পালন করতেন নেতাকর্মীরা। যার প্রভাব পড়েছিল অ্গংসহযোগি সংগঠনেও। নিজেদের কোন্দল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে দ্বিধাবিভক্ত নেতাদের কেউ কারও সাথে কথাবার্তা বলতেন না দীর্ঘ দিন। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রাজনগর উপজেলা বিএনপি। সম্প্রতি জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন আহŸয়াক কমিটি ঘোষণার পর উপেজলা বিএনপির বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিভক্ত স্থানীয় নেতাদের নিয়ে বসেন সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন। গত ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নিজের বাসভবনে বিবদমান পক্ষগুলোকে নিয়ে দীর্ঘ বৈঠকে বসেন। বৈঠকে তিনি উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাংগঠনিক দিক নির্দেশনার উপর শ্রদ্ধাশীল থেকে যথাযথ ভাবে তা মেনে চলার জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।
বৈঠকে দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি উদ্দেশ্যে জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়‚ন বলেন, আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করেছেন। আমি এ জেলা বিএনপির আহবায়ক এর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জেলা কৃষকদল, মহিলা দলের কোন্দল ও বিরোধ নিরসন করে ঐক্যবদ্ধ করেছি। এরই মধ্যে রাজনগর উপজেলাসহ জেলার অন্যান্য উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দকে দিয়ে সাংগঠনিক টিম গঠন করে দিয়েছি। কর্মী সভা আহŸানের জন্য সভার তারিখ ও সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তিনি দলীয় নেতৃবৃন্দকে অতীতের দুঃখ-ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নব উদ্যোমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের কাজ করে যেতে নেতাদের প্রতি আহবান জানান। ফয়জুল করিম ময়‚ন বলেন- অতীতে যারা দলের জন্য জীবন বাজি রেখে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রীয় ছিলেন, দলের জন্য জেলে গেছেন, মামলা হামলার শিকার হয়েছেন এসব ত্যাগী নেতৃবৃন্দের মাধ্যমেই দলের প্রতিটি স্তরের কমিটি গঠন করা হবে। ত্যাগী ও দুর্দিনের রাজপথের নেতৃবৃন্দদেরই কমিটিতে স্থান করে দেওয়া হবে। এতে কোনও স্বজনপ্রীতিকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এ আহŸানে উভয়পক্ষের নেতৃবৃন্দ খুশি হন এবং সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দেন। বৈঠকে অন্যানের মাঝে অংশ নেন- জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, জামি আহমদ, আব্দুল হেকিম বকস সুন্দর, আব্দুল কাদির মিয়া, নুরুল ইসলাম সেলুন, মো. জিতু মিয়া, আব্বাস আলী মাষ্টার, এমরান লতিফ খোকন, আশরাফুজ্জামান খান নাহাজ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনামুল হক চৌধুরী, আব্দুল মুত্তাকিন মুক্তা, জগলু তালুকদার, সাবেক চেয়ারম্যান বরকত মিয়া, কবির মিয়া প্রমুখ।
যাযাদি/এসএস