সুনামগঞ্জের হাওড় অধ্যুষিত তাহিরপুর উপজেলার প্রধান ফসল বোরো ধান আবাদে ব্যাস্ত সময়় পার করছেন কৃষকরা। প্রতিদিনই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌষের শীত উপেক্ষা করে বোরো আবাদের কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন প্রতিটি কৃষক পরিবারের সবাই। তবে সার,বীজ,কীটনাশক ও শ্রমিক মজুরীর বৃদ্ধিও কারণে চাষাবাদ করতে গিয়ে অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে কৃষকদের।
একাধিক কৃষক জানান, চলতি বছর শ্রমিক সংকটের কারনে শ্রমকি মুজুরী বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশী। তাছাড়া এখনো ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় বোরো আবাদ নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় রয়েছন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়,চলতি বছর উপজেলার ২৩ টি ছোট বড় হাওড়ে ১৭ হাজার ৫শ ৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে উচ্চ ফলনশীল জাতই বেশী।
উপজেলার বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা বীজতলা থেকে বোরো ধানের চারা উত্তোলন করে জমিতে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ চারা রোপণের জন্য মই দিয়ে জমির উঁচু নিচু সমান করছেন। অনেকে ট্রাক্টর দিয়ে় জমি চাষ করে চারা রোপণের জন্য প্রস্তুত করছেন। অনেকে দলবেধে জমিতে ধানের চারা রোপণ করছেন। আবার অনেকে জমিতে সার কীটনাশক দিচ্ছেন।
উপজেলার শনি হাওড় পার গোবিন্দ্রশ্রী গ্রামের কৃষক হারুনর রশিদ বলেন, বোরো আবাদ চলছে। কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গত বছরের তুলনায় এবারের চাষাবাদ ব্যায় অনেকটা বেড়েছে।
উজান তাহিরপুর গ্রামের কৃষক মোক্তার হোসেন বলেন,গত বছর শ্রমিক মুজুরী ছিলো ৫শ থেকে ৫শ ৫০ টাকা এবার শ্রমিক মুজুরী ৭ শ থেকে ৭শ ৫০ টাকা হয়েছে। সেই সাথে সেচ খরচ,সার,বীজ,কীটনাশক তো রয়েছেই।
উপজেলা কৃষি অফিস উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহীমা বেগম বলেন,বোর আবাদ চলমান রয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বোর আবাদ শেষ হয়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শরীফুল ইসলাম বলেন, বোর ধান চাষাবাদে এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা নেই। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া আশা করছি।
যাযাদি/ এম