শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

ফুলবাড়ী সীমান্তে বিজিবির কঠোর পাহাড়ায় 

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৫৫
ফুলবাড়ী সীমান্তে বিজিবির কঠোর পাহাড়ায় 
ছবি: যায়যায়দিন

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরেরর নাখারজান সীমান্তের আর্ন্তজাতিক সীমানা পিলার ৯৪১/৪ এস এর ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত চোরাকারবারিদের কৌশলী তথাকথিত কছিমুদ্দিনের ওরশ মেলায় এবারও যেতে পারেনি বাংলাদেশীরা।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ভোর সকাল থেকে সারাদিন বিজিবি ও বিএসএফের সীমান্তে টহল জোড়দার থাকায় কোনো বাংলাদেশী সীমান্ত টপকিয়ে ওই ওরশ মাজারে যেতে পারেনি। ওরশ মাজারের বাংলাদেশ সীমানায় কড়া পাহাড়া বসান লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধিনস্থ ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর কোম্পানির গংগারহাট বিওপির বিজিবি।

অপরদিকে বাংলাদেশ সীমান্তের নোম্যান্স এলাকার ভারত অভ্যন্তরের সীমানায় টহল জোড়দার করেন ভারতীয় শিউটি-২ বিএসএফ ক্যাম্পের বিপুল সংখ্যক বিএসএফ সদস্য। বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত রক্ষীদের কঠোর পাহাড়ায় ওরশ মাজারটিতে প্রবেশ করতে পারেনি কোনো বাংলাদেশী। তেমনি ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি।

কাশিপুর কোম্পানির গংগারহাট বিওপির বিজিবি সদস্য কিবরিয়া জানান, প্রতিবছরের ১০ জানুয়ারি ভারতের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত তথাকথিত কছিমুদ্দিনের ওরশ মাজারে বাৎসরিক ওরশ মেলা হয়। নোম্যান্স এলাকায় ওরশ মেলাটিতে হওয়ায় এখানে বাংলাদেশীরা প্রবেশ চেষ্টা করে।

এতে আর্ন্তজাতিক আইন অমান্য করে প্রবেশে বাংলাদেশী জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিজিবির উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা সীমান্তে কঠোর পাহাড়া বসিয়েছে। আমাদের কঠোর পাহাড়ায় কোনো বাংলাদেশী বাংলাদেশ অভ্যন্তর থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত অভ্যন্তরের কছিমুদ্দিনের ওরশ মেলায় যেতি পারেনি।

উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশের চোরাকারবারিরা সু-কৌশলে প্রতিবছরের ১০ জানুয়ারি তথাকথিত কছিমুদ্দিনের ওরশ মেলার নামে বাংলাদেশ থেকে স্বর্নসহ বিভিন্ন মালামাল ও ভারত থেকে হিরোইন, ইয়াবা, আগ্নেয় অস্ত্রসহ বিভিন্ন মালামালের চালান পাচার করে থাকে।

পাশাপাশি ভারতীয়রা কছিমুদ্দিনের মাজারে মানত হিসেবে দান করা বাংলাদেশীদের ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগীসহ লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিতো। ওরশ মেলায় আসা বাংলাদেশী নারীদের শারীরিকভাবে শ্লিতাহানী ঘটাতো।

এ বিষয়টি নিয়ে ২০১১ সালের দিকে স্থানীয় দেশপ্রেমিক সাংবাদিকরা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করলে বিষয়টি বিজিবির উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরবর্তীতে এই ওরশ মেলায় বাংলাদেশীদের অবৈধভাবে প্রবেশ বন্ধ ও ভারতীয়দের বাংলাদেশে প্রবেশ বন্ধে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

এর আলোকে ২০১১ সালের পর থেকে তথাকথিত কছিমুদ্দিনের ওরশ মেলায় বাংলাদেশীদের প্রবেশ সম্পুর্নভাবে বন্ধ থাকে। প্রতিবছর ১০ জানুয়ারি আসলে ফুলবাড়ী উপজেলা সদরেরর নাখারজান সীমান্তে বিজিবি বিশেষ টহল জোড়দার করেন। ফলে কোনোভাবেই কোনো বাংলাদেশী কচিমুদ্দিনের ওরশ মেলায় প্রবেশ করতে পারেননা।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে