পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটা বন্ধে কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলায় অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। অভিযানে দুই উপজেলায় ৪টি ইটভাটার স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রোববার (৯ মার্চ) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।
জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার লংলা ব্রিকস, এমএনএইচ ব্রিকস ও সোনালী ব্রিকসে রোববার দুপুরে ইউএনও মো: মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অপরদিকে জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভূয়াই এলাকায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গুলশান আরা চৌধুরী মিলি’র মালিকানাধীন ইটভাটায় অভিযান চালান জুড়ীর ইউএনও বাবলু সুত্র ধর।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে অনুমোদনবিহীন অবৈধ ইটভাটা অপসারণের নির্দেশনা মোতাবেক কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলার বেশ কয়েকটি ইটভাটার অনুমোদনপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও থানা পুলিশের সহযোগিতায় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় দুই উপজেলায় ৪টি ইটভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
কুলাউড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহ জহুরুল হোসেন জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া একটি চলমান ব্রিকফিল্ডকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কুলাউড়ার ইউএনও মো. মহিউদ্দিন এবং জুড়ীর ইউএনও বাবলু সুত্র ধর বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন নং-১৩৭০৫/২০২২ এর পরিপেক্ষিতে এসব ইটভাটাকে অবৈধ ঘোষণা করে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
যাযাদি/ এমএস