বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩এপ্রিল বৃহস্পতিবার হতে দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকার বোরাই কর্মকার পাড়ায় উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাধন কর্মকারের পারিবারিক মন্দিরে এ বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শাস্ত্রমতে শরৎকালে যেমন শারদীয়া দুর্গাপূজা হয়, তেমনি চৈত্র মাসে বসন্তকালে হয় বাসন্তী পূজা। বর্তমানে শারদীয়া দুর্গাপূজা আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপিত হলেও বাসন্তী পূজাই আদি দুর্গাপূজা। অযোধ্যার রাজা রামচন্দ্র শরৎকালে অকাল বোধন করে জগৎজননী মা রূপী দেবী দুর্গার পূজা করার আগে দেবী দুর্গার আরাধনা হতো এই বসন্তেই। চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের তিথিতে বাসন্তী পূজা হয়।
পূজা মন্ডপের পুরোহিত কার্তিক চন্দ্র গোস্বামী বলেন, গত ৩এপ্রিল বৃহস্পতিবার এ বাসন্তী পূজা ষষ্ঠী তিথির মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে। আগামী ৭এপ্রিল সোমবার বিজয়া দশমী তিথির মধ্যে দিয়ে এ পূজার সমাপ্তি ঘটবে। দুর্গাপূজার মতো বাসন্তী পূজায়ও একই রকম ফুল, ফল ও অন্যান্য উপকরণের প্রয়োজন হয়।
পূজার আয়োজক ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাধন কর্মকার জানান, এবারই প্রথম তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে তাঁর পারিবারিক মন্দিরে বাসন্তী পূজার আয়োজন করেছেন। তাদের ধারণা এ পূজায় মা রূপী দেবী বাসন্তী সন্তুষ্ট হলে সকল অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে এবং জগৎ হয় মঙ্গলময়।
সনাতনী পঞ্জিকামতে বর্তমানে বাংলাদেশের বাসন্তী দুর্গাদেবীর পূজার তেমন আড়ম্বতা না থাকলেও ভারতের বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী লাল বাজারে পাঁচদিনব্যাপী বাৎসরিক এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপজেলায় বোরাই কর্মকার পাড়া ও কইল গ্রামে এ দুই স্থানে এবার বাসন্তীপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
যাযাদি/ এমএস