শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

ঈশ্বরদীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
  ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:০২
ঈশ্বরদীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি
ছবি: যায়যায়দিন

পাবনার ঈশ্বরদীতে গভীর রাতে বসত বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রায় ১৩ ভরি স্বর্ণ ২ ভরি রুপার অলংকারসহ নগদ মোট সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ডাকাতি হয়েছি বলে দাবি করেছেন । ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার ( ৩রা এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বেদুনদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মো: জিয়াউর রহমান শাহ ঐ এলাকার মো: আক্কেল আলী শাহ এর ছেলে। তিনি পেশায় একজন মোটর গাড়ী চালক এবং ব্যাবসায়ী।

ভুক্তভোগীর ছোট ভাই রুবেল শাহ বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় আমার বড় ভাই জিয়াউর রহমান তার প্রাইভেট কারে গ্যাস রিফিল করতে পার্শ্ববর্তী অরণকোলা গ্যাস পাম্পে যায়। যাওয়ার সময় ভবনের প্রধান ফটক বাহির থেকে শুধু ভিরিয়ে দিয়ে গেলে ডাকাত দলের সদস্যরা রাত আনুমানিক ৩ টা ৫০ মিনিটের সময় দেশীয় অস্ত্র (বড় রামদা) এবং পিস্তল হাতে ৪ জন মুখোশ পরিহিত লোক আমাদের বাড়ির দোতলায় প্রবেশ করে। এসময় তারা অস্ত্রের সামনে আমাদের জিম্মি করে একেক করে সবাই বেধে সব কিছু নিয়ে চলে যায়।

ঈদে শ্বশুর বাড়ীতে বেড়াতে আসা জিয়ার ছোট বোনের স্বামী জুয়েল বলেন, রাতে হঠাৎ অপরিচিত কারো ধমকে আচমকা আমাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম থেকে জেগেই শুনি “আমরা ডাকাত” যা কিছু আছে চুপচাপ দিয়ে দে, নইলে জীবনে শেষ করে ফেলব। এই বলে গামছা ছিড়ে তারা সেই ছেড়া গামছার ত্যানা দিয়ে আমাদের মুখ হাঁ করে মুখ বেধে ফেলেন। এবং ঘরের ফেতরে থাকা আলমিরা, ওয়্যারড্রোবসহ সকল আসবাব পত্র থেকে তল্লাশী শুরু করেন।

জিয়ার স্ত্রী নাসরিন বেগম বলেন, আমাকে অস্ত্রের মুখে রেখে আমার শরীরের অলংকার খোলার চেষ্টা করলে আমি ডাকাতদের বাধা দেই। এবং আমি নিজেই আমার এবং আমার মেয়ের শরীরের সকল অলংকার খুলে তাদের হাতে তুলে দেই। সে সময় তাদের অন্যান্য সদস্যরা আমার দেবরসহ বাড়াতে থাকা অন্য সদস্যদের হাত, পা এবং মুখ বাধতে ছিল।

তিনি আরও বলেন, আমার অলংকার খুলে দেয়ারপর আমি দেতলা থেকে নিচ তলায় নামার চেষ্টা করলে সিড়িতে অবস্থানরত ডাকাত দলের ৫ম সদস্য আমাকে বড় রামদা দেখিয়ে কেটে ফেলার হুমকি দিয়ে রুমে ফেরৎ পাঠিয়ে দেওয়ায় আমি সকলের নিরাপত্তার ভয়ে কোন প্রকার চিৎকার করতে পারিনাই।

ভুক্তভোগী মো: জিয়াউর রহমান বলেন, বাড়ির কাছে গ্যাস স্টেশন হওয়ায় এবং রাতে চাপ না থাকায় আমি সব সময়ই এমন সময়ই গ্যাস তুলতে যায়। আজ আমাকে আমার আরেক ড্রাইভার বলল যে আমার বাড়ির সামনে একটি প্রাইভেট কার রাখা দেখে আসল । আমি শুনে বিষয়টি কানে নেয়নি। তবে বেশ কিছুক্ষণ পর বাড়ী থেকে ফোন পেয়ে জানতে পারলাম আমার বাড়ীতে ডাকাতি হয়েছে। জানতে পেরে দ্রুত বাড়িতে এসে জানতে পারি আমার নগদ সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা, প্রায় ১৩ ভরি স্বর্ণ ২ ভরি রুপার অলংকার, মোট ৬ টি স্মার্ট ফোন নিয়ে গেছে ডাকাত দলের সদস্যরা।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম শহীদ বলেন, ডাকাতির বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যাচাই বাছাই শেষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

যাযাদি/ এমএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে