মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে দিনাজপুরের প্রবেশদ্বার বলে খ্যাত ফুলবাড়ী পৌর শহরের দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক।
গত ৫মাসে শুধু ফুলবাড়ীতে ১৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এ সব দুর্ঘটনায় ৭জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে গত ৩০ বছরেও ফুলবাড়ীতে তৈরি হয়নি বাইপাস সড়ক। স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন ফুলবাড়ীতে একটি বাইপাস সড়কের অতি প্রয়োজন হলেও, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এ উপজেলার কোন উন্নয়ন হয়নি। ফলে অতিপ্রয়োজনীয় বাইপাস সড়ক এখনো হয়নি।
ফুলবাড়ী থানা সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে মে মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত এ উপজেলার মধ্যে ১৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৭জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আছে ৩০ জনের অধিক। এছাড়া মামলা হয়নি এমন ঘটনাও রয়েছে।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কটি উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সব থেকে ব্যস্ততম একটি সড়ক। এই সড়ক দিয়ে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় জেলার সকল প্রকার যানবহন যাতায়াত করে।
একটি বেসরকারী সংস্থার জরিপ অনুযায়ী এই সড়কটিতে প্রতি মিনিটে গড়ে ৩টির অধিক, ঘন্টায় ১০০ থেকে ১৫০টি ছোট-বড় যানবহন যাতায়াত করে।
সড়কটি ফুলবাড়ী পৌর শহরের মাঝ দিয়ে হওয়ায়, ব্যবপক ঝুঁকিপূর্ন হয়েছে সড়কটি। এই সড়কের পাশে রয়েছে ফুলবাড়ী থানা কার্যলয়, পৌরসভা কার্যলয়, ফুলবাড়ী সাব-রেজিস্ট্রি অফিস।
এছাড়া রয়েছে ৪টি মহাবিদ্যালয় ও তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফুলবাড়ী সরকারী কলেজ, ফুলবাড়ী শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজ, ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজ, ফুলবাড়ী দারুস্সুন্নাহ সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, ফুলবাড়ী জিএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলবাড়ী বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়সহ গুরুত্বপুর্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ফলে একই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে যানবহনসহ হাজারো শিক্ষক শিক্ষার্থী ও পথচারী।এদিকে এই সড়কটি অতিব্যস্থতম সড়ক হলেও, এখনো ছয় লেন কিংবা চার লেনে উন্নিত করা হয়নি। এমন কি শহরের মধ্যে সড়কের পাশে এখনো তৈরি করা হয়নি পথচারীদের জন্য কোন ফুটপথ। এ কারনেও প্রতিদিনে ঘটছে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা।
জানতে চাইলে ফুলবাড়ী পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসাহাক আলী বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে সবার সহযোগিতা নিয়ে ফুটপথ দখলমুক্ত করে পথচারীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
এদিকে সড়ক ও জনপদ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলছেন, এখন মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নিতকরনের কাজ চলছে। এরপর আঞ্চলিক সড়কগুলো চার লেন করা হবে।