নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির দ্বিতীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলীর বিরুদ্ধে একটি খেয়া ঘাট ২৮ লাখ টাকার ইজারা নিয়ে ৭০ লাখ টাকা বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই নেতার ইজারা বাতিল করে নোটিশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ইজারা বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি দিলে বুধবার (২১ মে) বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় সৃস্টি হয়।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী জানান, ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের রাজাপুর গুদারাঘাট বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত এক বছরের জন্য সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে হাসান আলীকে ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকায় ইজারা দেয়া হয়।
আর আইনে বলা আছে ইজারা ও ব্যবস্থাপনা এবং উদ্ভ’ত আয় বন্টন সম্পর্কিত নীতিমালার অনুচ্ছেদ ২ এর উপ-অনুচ্ছেদ (ঠ) অনুযায়ী ইজারাদার কোনক্রমেই ইজারা প্রাপ্ত খেয়াঘাট অন্যের নিকট ইজারা বা বন্দোবস্ত দিতে পারবেন না।
হাসান আলী এ আইন অমান্য করে অধিক লাভে অন্যের কাছে ইজারা বিক্রি করে দিয়েছে।
এমন অভিযোগ তদন্ত করে প্রমান পাওয়ায় তার ইজারা বাতিল করে জমাকৃত টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। খাস ঘোষনা করে রাজাপুর গুদারাঘাট পূনরায় ইজারা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।
এবিষয়ে জানতে হাসান আলী জানান, চাহিদা পূরণ করতে না পাড়ায় ইজারা বাতিল করে দিয়েছে।
চাহিদা পূরণ করলে বাতিল করতো না। আমি আইনি লড়াই করে ইজারা ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।