ফরিদপুর জেলায় আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আজহা ঝামেলাহীন, সুষ্ঠুভাবে নির্বিঘ্নে উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারে ঈদে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আতশবাজি ও উচ্চস্বরে সাউন্ড ব্যবহার।
বুধবার (২৮ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা।
সভায় ঈদের নামাযের সময় নির্ধারণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ফরিদপুরবাসী যাতে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা নির্বিঘ্নে ও সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারে সে জন্যে প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে। পশুর হাটগুলোতে যাতে ক্রেতা ও বিক্রেতারা কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়ে সে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। আশা করি কোনো সমস্যা ছাড়াই সকলে ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ঈদের সামনে কোন রকম চাঁদাবাজি প্রশাসন সহ্য করবে না, এজন্য পুলিশ প্রশাসন র্যাব এবং সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। ঈদের এই আনন্দকে বিঘ্নিত হয় এমন কোন কর্মকান্ড কাণ্ড কোনভাবেই করা যাবে না। আতশবাজি ফটকা ফোটানো এবং উচ্চস্বরে সাউন্ড ব্যবহার করা যাবে না।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল, পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম, বজেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী বাকাইল হোসেস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহরাব হোসেস, প্রেসক্লাব সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সদর ইউএনও ইসরাত জাহানসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, আনসার ভিডিপি, র্যাব-১০সহ বিভিন্ন সরকারী দফতরের প্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
ফরিদপুরের ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭ টায় শহরের চাঁনমারি ঈদগাহ ময়দানে। নামাজের ইমামতি করবেন হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।