হকার্স লীগ থেকে বিএনপি নেতা বনে যাওয়া বিভিন্ন অপকর্মের হোতার সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঞ্চিত হয়েছেন এক সাংবাদিক। এঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন সাংবাদিকরা।
বুধবার (২৮ মে) দুপুরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিতিতে এই কর্মসূচি পালন করেন ।
এসময় হকার্স লীগ নেতা থেকে বিএনপি হওয়া জহিরুল ইসলাম জহিরের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান সাংবাদিকরা।
দৈনিক জণবানীর জামাল প্রধানিয়া বলেন, এই জহিরুল আগে ছিল হকার্স লীগ নেতা, সে ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লতিফ মন্ডলের আপন ভাগিনা। আওয়ামী সরকারের আমলে মামার ক্ষমতা দেখিয়ে হকার্স লীগ নেতা হয়ে মাদক কারবার, চাঁদাবাজি সহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যে সে করেনি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর হঠাত করেই সে ভোল পাল্টে হয়ে গেছেন বিএনপি নেতা। এখনো আগের মতই তার অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বহাল তবিয়তে। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
দৈনিক ঘোষণার শাহাদাত হোসেন সরকার বলেন, এই মাদক কারবারি যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন সে সেই দল করে।মূলত সে একজন মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ। সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সে সাংবাদিককেও লাঞ্চিত করে। এতে বিএনপির মত একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল দলের চরম বদনাম হচ্ছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এর আগে গত সোমবার আশুলিয়ার মধুপুর গ্রামে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক সরেজমিন বার্তার স্টাফ রিপোর্টার রবিউল ইসলাম রবি উক্ত জহিরুল ইসলাম জহিরের হাতে লাঞ্চিত হন।
লাঞ্চিতের শিকার সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রবি বলেন, জহির আগে ছিল হকার্স লীগ নেতা। ৫আগস্টের পর হয়েছন বিএনপি নেতা। আশুলিয়া এলাকায় সে ভয়ংকর মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। চাঁদাবাজি সহ জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ সংগ্রহে গেলে জহিরুল ইসলাম জহির সহ প্রায় ৫-৮জন মিলে আমাকে লাঞ্চিত করে। এসময় গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংবাদিক মাহবুব মন্ডল, মৃদুল ধর বাভন, রিপন, মানিকসহ গাজীপুরের কাশিমপুর ও সাভার আশুলিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ।