প্রাকৃতিক দূর্যোগ সহ অন্যান্য দূর্যোগ থেকে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে প্রকৃতি ও পরিবেশ। প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে আমাদের সবকিছু করতে হবে। প্রকৃতির প্রতি যেমনটাই অত্যাচার করা হবে ঠিক তেমনটাই আমাদের ফেরত দিবে।
এসব কথা গুলি বলছিলেন বুধবার(২৮মে) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় ওয়াইল্ডটিমের আয়োজনে সুন্দরবন সংলগ্ন বরষা রিসোর্টে ভিটিআরটি ও বাঘবন্ধুদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: রণী খাতুন।
তিনি বলেন সুন্দরবনের বাঘ আমাদের অন্যান্য সম্পদ। বাঘের কারণে সুন্দরবন টিকে আছে। বাঘ না থাকলে সুন্দরবন টিকে থাকত না। পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করতে প্রকৃতি ও পরিবেশকে সুরক্ষা করার কথা বলেন। তিনি সকলকে প্রাণ বৈচিত্র্য রক্ষায় এগিয়ে আসার আহব্বান জানান।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল রিফাত। অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বাঘবন্ধু রনজিৎ বর্মন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়াইল্ডটিম সাতক্ষীরার প্রোগ্রাম অফিসার সনজিৎ কুমার মন্ডল।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রশিক্ষক হিসাবে বক্তব্য রাখেন ওয়াইল্ডটিমের সমন্বয়কারী মোঃ আবু জাফর। প্রশিক্ষণ সহায়ক হিসাবে বক্তব্য রাখেন ওয়াইল্ডটিমের ফিল্ড এ্যাসিট্যান্ট গোলাম মোস্তফা।
বক্তারা ভিটিআরটি ও বাঘবন্ধুদের সরকারি সহায়তা প্রাপ্তি, সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় জেলে, বাওয়ালী, মৌয়ালী সহ অন্যান্য পেশাজীবিদের বন্য প্রাণী দ্বারা আহত হলে বা সকলের চিকিৎসার জন্য দশ শয্যার একটি হাসপাতাল নির্মানের দাবী জানান।
প্রশিক্ষণ পরবর্তী প্রায় একশত জন ভিটিআরটি ও বাঘবন্ধুদের সুন্দরবন ও বন্যপ্রাণি সুরক্ষায় ফাস্টএইড বক্স, জ্যাকেট, টি শার্ট, টুপি, হাতমোজা, ব্যানার, ত্রিপল, হ্যান্ড মাইক, রেজুলেশন বুক সহ অন্যান্য কিছু প্রদান করা হয়।
জানা যায় বাংলাদেশ সুন্দরবন ও এর আশেপাশে গ্রাম গুলোতে বাঘ/বন্যপ্রাণীর মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রাথমিক ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করছে ভিটিআরটি ও বাঘবন্ধু সদস্যবৃন্দ। একই সাথে গ্রাম গুলোতে সুন্দরবন ও বাঘ সুরক্ষায় ও বাঘ/বন্যপ্রাণীর মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করছে।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে গত একবছরে লোকালয়ে আসা বন্য প্রাণীকে সুন্দরবনে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে ফেরত পাঠানো ভিটিআরটি সদস্যবৃন্দকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে প্রাণবন্ত করতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।