বরিশাল বাকেরগঞ্জে চরাদী ইউনিয়নের ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমানের অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে বিদ্যালয়টি।
১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থীরা শিক্ষা লাভ করে দেশের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।, রয়েছে বিদ্যালয়ের ও শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট সুনাম, অভিযোগ রয়েছে বর্তমান প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান যোগদানের পর থেকেই বিদ্যালয়ের চিত্র পাল্টে যায়, প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় নষ্ট হচ্ছে সুনাম ও ভেঙে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক এইচ এম সোহাগ, বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু ভালো সিদ্ধান্ত গ্ৰহন করেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে নেই কোন সমন্বয় বিরোধ চলে সবসময়। অভিযোগ পাওয়া গেছে সরকারি ভাবে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে হেপাটাইটিস বি টিকা দেয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক ও রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর বিক্রয় প্রতিনিধির যোগসাজশে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৪০০/= টাকা করে নিয়ে সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করেছে।
২০২০- ২১ অর্থ বছরের করোনাকালিন সময়ে বিদ্যালয়ে দেয়া ভর্তুকির পাঁচ লক্ষ টাকা তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটিকে না জানিয়ে নিজে আত্মসাৎ করে।
বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের পুরনো আসবাবপত্র বিক্রি করে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান বিগত কোন ম্যানেজিং কমিটিকে বিদ্যালয়ের আয় ব্যয়ের হিসাব দেয়নি। নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিদ্যালয়ের টাকা থেকে ২০০০/= মোবাইল বিল নিয়ে থাকেন তিনি। বর্তমান বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি থাকা সত্ত্বেও ব্যাংক হিসাব অপারেটারে নাম পরিবর্তন করেননি।
সাবেক সভাপতির সাক্ষর জাল করে ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করেন। ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলেই নিজের পছন্দের লোকদের সভাপতি নির্বাচিত করে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাত সহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করেছে প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের এমন কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগন খোব প্রকাশ করেন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা থেকে পরিত্রাণ পেতে ২৮ /০৫ ২০২৫ বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে আবেদন করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং সাবেক সদস্য আবু জাফর।
আবেদন পেয়ে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম যায়যায়দিন কে বলেন প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে আগেও অনেক অভিযোগ পেয়েছি, এখন আবার অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে, অবশ্যই তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা বলে তিনি জানান , এবং কেন ফোন দেয়া হয়েছে?? এবং গনমাধ্যম কর্মীদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন।