শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষপে

নতুনধারা
  ০৮ মে ২০১৯, ০০:০০

গর্ভাবস্থায়

যেসব খাবার খাবেন না

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

গর্ভাবস্থায় খাবার নিয়ে অন্যান্য সময়ের থেকেও অনেক বেশি সচেতন হতে হয়। কারণ মায়ের খাবার থেকেই গর্ভের শিশু পুষ্টি পায়। হাভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ গর্ভবতী নারীদের জন্য হার্ভার্ড হেলদি ইটিং পেস্নট নামে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে লাল মাংস সীমিত পরিমাণে এবং প্রসেসড মিট এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। এ ছাড়াও রিফাইন্ড শস্য দিয়ে তৈরি সাদা পাউরুটি ও সাদা চালের ভাত এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি আরো কিছু খাবার রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলতে হবে। চলুন জেনে নেই-

কলিজা ও কলিজার তৈরি খাবার: লিভারে রেটিনল থাকে যা একটি প্রাণিজ ভিটামিন-এ। এর অতিরিক্ততা গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

কাঁচা ডিম: গর্ভাবস্থায় কাঁচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ কাঁচা ডিমে সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই ডিম ভালোভাবে সিদ্ধ না করে খাওয়া যাবে না।

অপাস্তুরিত দুধ: অপাস্তুরিত দুধ বা কাঁচা দুধে লিস্টেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই ভালো করে না ফুটিয়ে দুধ পান করা যাবে না। অপাস্তুরিত দুধ দিয়ে তৈরি খাবার যেমন- নরম পনির খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে: গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে খাওয়া বিপজ্জনক। এতে গর্ভপাতের মত ঘটনা ঘটতে পারে।

ক্যাফেইন : চা, কফি ইত্যাদিতে ক্যাফেইন থাকে। দৈনিক ২০০ গ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করা ঠিক নয়। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে কম ওজনের শিশু জন্মগ্রহণ করে। মিসক্যারেজের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।

সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু অধিক পরিমাণে খেলে গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়। কারণ সামুদ্রিক মাছে পারদ জাতীয় পদার্থ থাকে।

অর্ধসিদ্ধ মাংস: অর্ধসিদ্ধ মাংসে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। প্যাকেটজাত মাংস যেমন- সসেজ খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে। মাংস ভালোভাবে সিদ্ধ করে রান্না করতে হবে।

হার্ট অ্যাটাক

যখন নীরব

ঘাতক

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

হার্ট অ্যাটাক কথাটি শুনলেই ভয়ে আঁতকে ওঠে মনটা। এর ব্যথার তীব্রতা সঙ্গে প্রচুর ঘাম, বমিভাব আর তখন তীব্র শ্বাসকষ্ট সব মিলিয়ে প্রাণঘাতী এক সর্বগ্রাসী রূপে আতঙ্কিত করে তোলে রোগীকে। হার্ট অ্যাটাকের রোগীটি মনে করতে থাকেন এখনই তার মৃতু্য হবে। এ ভীতির বাস্তব কারণও আছে, কেননা, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত প্রায় ২৫ শতাংশ রোগী কোনো চিকিৎসা দেয়ার আগেই মৃতু্যবরণ করেন। উন্নত বিশ্বেও তাৎক্ষণিক এ মৃতু্যর হার প্রায় একই রকম। তবে আপনি জানেন কি? হার্ট অ্যাটাক কখনো নীরব ঘাতকের ভূমিকায় আসতে পারে। অর্থাৎ ব্যথাহীন হার্ট অ্যাটাক। আমরা ইংরেজিতে যাকে বলি ঝরষবহঃ সুড়পধৎফরধষ রংপযধবসরধ. ১৯১২ সালে জেবি হেরিক প্রথমে এই ব্যথাহীন হার্ট অ্যাটাকের কথা বলেন এবং ঔধসধ (গবফরপধষ ঔড়ঁবহধষ)-এ একটি আর্টিকেল লেখেন। এরপর অজানা কারণে হঠাৎ মৃতু্যর কারণ খুঁজতে গিয়ে অঁঃড়ঢ়ংু রিপোর্টে বেরিয়ে আসে নীরব হার্ট অ্যাটাকের রহস্য। এ ধরনের রোগীর সংখ্যা একেবারে কম নয়, যেমন যেসব রোগীর ঈযৎড়হরপ ঝঃধনষব অহমরহধ আছে তাদের শতকরা ৪০ জন এবং ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ঈড়ৎড়হধৎু অৎঃবৎু ফরংবধংব এর ক্ষেত্রেও শতকরা পাঁচজন এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

কাদের হয় : বৃদ্ধ বয়সে, ডায়াবেটিসের রোগী, যারা নিউরোপ্যাথিতে ভোগেন এমনকি যারা আগে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন সাধারণত এরাই নীরব হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে পারে।

কখন হয় : বিশ্রামে থাকার সময় বা পরিশ্রম করাকালীন, ঘুমের ভেতর বা অজ্ঞান অবস্থায় বোঝার উপায় আছে কি? সাধারণত যাদের বয়স ৪০-এর উপরে, যারা ধূমপায়ী, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন এসব লোক যদি অল্প পরিশ্রমে অস্বাভাবিক ক্লান্তি বোধ করেন বা শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন বা বুকটা যদি ভারী হয়ে আসে তবে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত। প্রতিরোধের উপায় কী?

ব্যথাযুক্ত হার্ট অ্যাটাকের মতোই যেমন ধূমপান পরিহার করা, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা, প্রচুর শাকসবজি ও ফল খাওয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<48349 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1