শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
সাইফুদ্দিন সাইফুল

এস এম সুলতান তার বহুমাত্রিক সৃজনশীলতা

আমরা জানি, জগদ্বিখ্যাত পাবলো পিকাসো ভ্যান গগের মতো মহান চিত্রশিল্পীদের পাশাপাশি বাংলা মায়ের সন্তান বরেণ্য চিত্রশিল্পী সুলতানের নাম আজ বিশ্ববুকে বহুল প্রচারিত ও প্রতিষ্ঠিত। বাংলার হাজার বছরের কৃষ্টি-কালচার ইতিহাস-ঐতিহ্য প্রকৃতির অপূবর্ রূপ ও প্রান্তিক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিচ্ছবি ক্যানভাসে এঁকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন।
নতুনধারা
  ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

একজন কবি এবং একজন চিত্রশিল্পীর পাথর্ক্যটা শিল্পের জায়গা থেকে একেবারে অভিন্ন রূপ। কবি কলম-খাতা আর শব্দের সমন্বয়ে সৃষ্টি করে কবিতা বা সাহিত্যকমর্, আর শিল্পী রং-তুলি ও ক্যানভাসের একত্রে নিমার্ণ করে ছবি বা শিল্পকমর্। পাথর্ক্যটা এই কবি শব্দে শব্দে গেঁথে কবিতা রচনা করে এবং শিল্পী রঙের মাধ্যমে চিত্র বা ছবি অঁাকে। উভয়ের ক্ষেত্রে মূতর্-বিমূতর্ অথার্ৎ সৃষ্টিশীলতার মূল ভাবের প্রকাশ ঘটে। মূলত, কবি ও শিল্পী দুজনেই স্রষ্টা অথার্ৎ নান্দনিকাথের্ সুন্দর এবং সৃষ্টিশীল সত্তার অধিকারী। যেহেতু চিত্রকল্পই কবিতা সেহেতু বহুমাত্রিক শিল্পের নান্দনিক রূপের প্রকাশ চিত্রকলা। সাহিত্যের মতো চিত্রকলারও ভাষা ভাব ছন্দ রূপ রসের গন্ধ থাকে। বাংলার কৃতী সন্তান বিশ্বখ্যাত অদম্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের চিত্রকমের্ তারই প্রতিফলন ঘটেছে। চিত্রকলা এ ক্ষেত্রে মানুষের জীবনের কালের সমাজের প্রকৃতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে একজন কবি কিংবা শিল্পী সে তার চিন্তা-চেতনা ভাবনা বোধ বিশ্বাসকে কাব্য-শিল্পকমের্র মধ্যে প্রকাশের দ্বারা উপস্থাপন করে থাকে। সুলতান তার ছবিতে এটাই সাথর্ক করে তুলেছে।

আমরা জানি, জগদ্বিখ্যাত পাবলো পিকাসো ভ্যান গগের মতো মহান চিত্রশিল্পীদের পাশাপাশি বাংলা মায়ের সন্তান বরেণ্য চিত্রশিল্পী সুলতানের নাম আজ বিশ্ববুকে বহুল প্রচারিত ও প্রতিষ্ঠিত। বাংলার হাজার বছরের কৃষ্টি-কালচার ইতিহাস-ঐতিহ্য প্রকৃতির অপূবর্ রূপ ও প্রান্তিক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিচ্ছবি ক্যানভাসে এঁকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন।

আপন শিল্পসত্তাকে ও তার অদম্য সৃষ্টিশীলতাকে নিজ ঐকান্তিক চেষ্টা গভীর সাধনা এবং ভালোবাসার পরশে প্রকাশ করেছেন। আর তাই তার প্রতিটা চিত্রকমের্ দৃষ্টিনন্দন শিল্পরূপ প্রকাশ পেলেও মূলত মানবিকতাই মুখ্য হয়ে উঠেছে। কেননা, এস এম সুলতান জীবনে নানামুখী অঁাকায় সদা ব্যস্ত থেকেছে এবং চিত্রকমের্ক নানাভাবে নানারঙে নানাঢঙে নানা মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। তার নিজের আপন শিল্পবোধ শিল্পসত্তা অনেক বেশি উঁচুতে দঁাড় করিয়েছে। আর এখানেই তিনি অনন্য ও অসাধারণ প্রতিভার অধিকারীর স্বাক্ষর রেখেছেন। এবং নিজস্বতার শিল্পরূপ চিত্রকমের্ বহুগুণেই দীপ্ত আলোর মতো জ্বলে উঠেছে।

এস এম সুলতান বাংলার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ প্রত্যহ রোদ-বৃষ্টিতে কষ্ট করা কৃষক-শ্রমিকের যাপিতজীবনের কঠিন বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি তিনি তার শিল্পের নজর দিয়ে সৃজনশীলতার অপার রঙে মূতর্-বিমূতের্ক ক্যানভাসের বুকে দক্ষতার সহিত নিমার্ণ করেছেন। তিনি শিল্পকে করে তুলেছেন বিশ্বাসের প্রতিবাদের দ্রোহের জীবন নামের মহান সত্তার একান্তে চিত্ররূপ। প্রকৃতই একজন শিল্পীকে মানুষকে জীবনকে সমাজকে প্রকৃতিকে ও সমকালকে যেভাবে দেখা উচিত এবং আপন চিন্তা ভাব-ভাবনা উপলব্ধির আদলে চিত্রায়িত করা আবশ্যক তা আমাদের এস এম সুলতান তিনি তার চিত্রের ভেতরে অকপটে দক্ষতার সঙ্গে রং-তুলির অঁাচড়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। কাজেই একথা বলতেই হয় যে, তিনি সত্যিকারের একজন জাতশিল্পী। একথা দিবালোকের মতো সত্য যে, যে শিল্পী আপাদমস্তক শিল্পসত্তা ধারণ করে সেই শিল্পীর শিল্পকমর্ তাকেই প্রথমে প্রকাশ করে থাকে।

এস এম সুলতান ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন একেবারে শিশুদের মতোন সহজ-সরল ও উদার প্রকৃতির। শিশুদের তিনি অত্যন্ত ¯েœহ করতেন সন্তানের মতো নিঃস্বাথর্ ভালোবাসতেন এবং শিশুদের সুপ্তপ্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে তাদের কোমল মনে সৃজনশীলতার বীজ বপন করার প্রত্যয়ে ‘শিশুস্বগর্’ নামে একটি নৌকা নিমির্ত করেছিলেন। শিশুরা এই নৌকায় উঠবে হৈ-হুল্লোড় করবে ছবি অঁাকবে খেলবে আনন্দ করবে হাসবে এই ছিল সুলতানের মনের ইচ্ছা।

দীঘর্ ২৪ বছর তৎকালীন পূবর্-পাকিস্তানের জালিম অত্যাচারী শাসকদের দ্বারা শাষিত অত্যাচারিত নিযাির্তত নিষ্পেষিত ও অবহেলায় জজির্রত হয়ে শেষ পযর্ন্ত মুক্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতার জন্য একাত্তরে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমরা বাঙালি জাতি স্বাধীন সাবের্ভৗম দেশ হিসেবে আজকের আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি এই বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করি। বাংলা মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে পেয়েছি লাল-সবুজের পতাকা আর মাথা উঁচু করে কথা বলা ও বেঁচে থাকার স্বাধীনতা। ফলে বাঙালির জাতীয় জীবনে এই মহা অজর্ন একজন দেশপ্রেমিক শিল্পী হিসেবে এস এম সুলতানের জীবনে-মননে চেতনায় একদিকে যেমন স্বপ্ন দেখিয়েছে ভাবিয়েছে প্রেরণা দিয়েছে আবার অন্যদিকে তার আপন সৃষ্টিসত্তাকে বিচলিত করেছে এবং আগামীর পথ চলার পাথেয় জুগিয়েছে। আর তাই আমরা এস এম সুলতানের রং তুলির অঁাচড়ে ক্যানভাসের বুকে ফুটে উঠতে দেখি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তঝরা দিনের ও আত্মত্যাগের অসাধারণ যত বিচিত্রময় শিল্পময় নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন ছবি। সুলতানের অঁাকা ‘গণহত্যা ১৯৭১’ চেতনাধমীর্ চিত্রকমির্ট অন্যতম এবং একাত্তরে ভয়ানক পেক্ষাপটের বাস্তব চিত্র। এখানে মানবতাবিরোধী জঘন্যতম ভয়াবহ গণহত্যার চিত্র এঁকেছেন।

এস এম সুলতানের অনেক চিত্রকমের্ কৃষকের যে পেশিশক্তির রূপ প্রকাশ পেয়েছে তা কমর্ট খেটে খাওয়া মানুষের আত্মবিশ্বাসের প্রকাশমাত্র। কৃষক ফসল ফলায় শ্রম দেয় মাটির সঙ্গে নিবিড় সম্পকর্ গড়ে তোলে এবং অন্যের স্বপ্নের স্বপ্নকে দৃঢ় করে। সুলতানের চিত্রকমের্ কৃষকের সেই মানবিক পেশিশক্তির মননশীল শিল্প অনেক বেশি ফুটে উঠেছে। শুধু তাই নয়, চিত্রকমর্ও একটি প্রতিবাদের ভাষাও বটে। অন্যায় অনিয়ম কৃসংস্কার সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেও চিত্রকমর্ যুগে যুগে সৃজনশীল প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছে। সুলতানের অঁাকা ছবিতে সেসব খুনসুটি এতটুকু দূরে সরে যাইনি। বারবার সাবলীল সহজ-সরল হয়ে এসেছে। এখানেই সুলতান অনন্য ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। আসলে তিনি শেকড়ের শিল্পী, শেকড় সন্ধানী জ্ঞানী পÐিত এবং বহুমাত্রিক শিল্পীমন নিয়ে বাংলার মাটিতে জন্ম নিয়েছিলেন।

এস এম সুলতানের বৈচিত্র্যময় চিত্রকমের্ বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার পাখি বাংলার গাছ বাংলার খেটে খাওয়া কৃষক মেহনতী মানুষ খুব সচেতনভাবে উঠে এসেছে। পাশাপাশি এই মহান প্রতিভাবান শিল্পীর অঁাকা ক্যানভাসে আবহমান গ্রামবাংলার চিরাচরিত ঋতুবৈচিত্র্যের ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দযর্-বৈভব দেখে যারপরনায় অবাক নয়নে মুগ্ধ বাংলার মানুষ। শিল্পী এস এম সুলতানের অঁাকা অসংখ্য চিত্রে গ্রাম-বাংলার প্রতিচ্ছবি যেভাবে নান্দনিকভাবে ফুটে উঠেছে তা সত্যিই অবাক করে দেয়। গ্রামকে তিনি মায়ের মতো মমতাময়ী স্নেহশীল করে উপস্থাপন করেছেন। গ্রামের রূপকে হরেক রঙের বাহারে একদম সত্যিকারের গ্রাম করে তুলেছে। চিত্রকলায় যে মূতর্-বিমূতের্র বিষয়টি মুখ্য হয়ে ওঠে এবং তা মূতর্র ভেতর আর বিমূতর্র সাদৃশ্যতার সমন্বয়ে শিল্পরূপ প্রকাশ করে। আমরা শিল্পের সেই বহুমুখিতার গভীর বন্ধনটাই সুলতানের চিত্রকমের্ দেখতে পাই। সুলতানের অঁাকা তার ‘গ্রাম্য পথ’ চিত্রকমির্ট গ্রামের পথের সৌন্দযের্ক তুলে ধরেছেন। আসলে তিনি যে কত বড় মাপের একজন বোদ্ধাশিল্পী তা তার অঁাকা গ্রাম-বাংলা নদী-নালা পাখি বৃক্ষ আর গ্রাম্য-জীবনের ছবি দেখলেই প্রতীয়মান হয়। তার শিল্পকমের্ কোনো আড়ম্বর নেই বাধ্যকতা নেই জোর-জুলুম নেই অতিরঞ্জিতরও এতটুকু স্থান নেই আছে শুধু নিষ্ঠা সততা ভালোবাসা আর শিল্পীর চোখে দেখা নিরিখপূণর্ একটা আলাদা ভাবের বাস্তবরূপ। এই জন্য তার চিত্রকমের্ অনেক ক্ষেত্রে জীবনকথার প্রকাশ ঘটেছে।

সুলতানের অসাধারণ সব চিত্রকমর্ নিয়ে দেশে ও বিদেশের মাটিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গাতে একক এবং যৌথভাবে প্রদশর্নী হয়েছে। এসব প্রদশর্নীতে বাংলার মাটি বাংলার রূপ বাংলার আকাশ বাংলার নদী গ্রাম কৃষক শ্রমিক সবোর্পরি মানুষের একান্তে রূপটাকেই তুলে ধরা হয়েছে। ভারতের সিমলায় ১৯৪৬ সালে এক বিদেশিনীর উদ্যোগে সুলতানের চিত্রকমর্ নিয়ে প্রদশর্নী হয়। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের লাহোর ও করাচিতে প্রদশর্নী হয়। ১৯৫০ সালে লন্ডনে বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পীদের সঙ্গে তার চিত্রও প্রদশর্নী উদযাপিত হয়। আমেরিকাতেও তার চিত্রকমর্ নিয়ে প্রদশর্নী হয়েছে। ১৯৭৬ সালে ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশে প্রথম প্রদশর্নী হয়। এ ছাড়া ১৯৯৩ সালে ঢাকায় একক ও শেষ চিত্র প্রদশর্নী উৎসব করা হয়।

মা মাটি বাংলার কৃতী সন্তান বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী আমাদের লাল মিয়া (এস এম সুলতান) চিত্রশিল্পে আপন মেধা সৃজনশীলতার অনেক অনেক অবদান ও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। আর তাই যোগ্যতার মূল্যায়ন হিসেবে তিনি ‘একুশে পদক-১৯৮২, ‘রেসিডেন্ট আটির্স্ট -১৯৮৪, ‘বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা-১৯৮৬, ও ‘চঁাদের হাট পদক-১৯৮৬, এবং ‘স্বাধীনতা পদক-১৯৯৩, ইত্যাদি পুরস্কার লাভ করেছেন। এ ছাড়া এই প্রতিভাবান সৃজনশীল ও মননশীল চিত্রশিল্পী তিনি দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও অনেক বেশি খ্যাতি ও সম্মানিত হয়েছেন এবং পুরস্কার পেয়েছেন। যেমন, ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট (বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার, নিউইয়কর্), ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার (ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন), ও ‘ম্যান অব এশিয়া (এশিয়া উইক পত্রিকা) ইত্যাদি সম্মাননা অজর্ন করেছেন। সুলতানের এসব পুরস্কার তাকে যেমন সম্মানের আসনে বসিয়েছে তেমনি দেশ ও জাতির সম্মানকে অনেক উঁচুতে তুলে ধরেছে।

হতদরিদ্র জন্মদাতা পিতা শেখ মেছের আলী আর গভর্ধারিণী মাতা মাজু বিবির ঘর আলোকিত করে বিগত ১৯২৩ সালে আগস্ট মাসের ১০ তারিখে নড়াইল জেলার চিত্রা নদীর পাড়ে অখ্যাত গ্রাম মাছিমদিয়ায় আমাদের অতিব আপনজন শিল্পের অদম্য শিল্প চাষী এস এম সুলতান এই ধরাধামে বাংলার বুকে জন্মগ্রহণ করেন। এই বহুমাত্রিক কৃতী চিত্রশিল্পী তিনি তার দীঘর্ জীবনকাল শেষে ৭০ বছর বয়সে ১৯৯৪ সালে ১০ অক্টোবরে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন। নড়াইলে তার আড্ডাস্থল, শিল্প-সাধনার স্থান এবং যেখানে তিনি তার জীবনের সিংহভাগ সময় কাটিয়েছেন সেখানেই তার চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। আজ সেখানে প্রতিদিন প্রতি সময়ে দেশ-বিদেশের অনেক শিল্পপ্রেমী মানুষ ভক্তগণ আসে শিল্পীকে ভালোবেসে কৃতজ্ঞতায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। আর শিল্পীর স্মরণে প্রতিবছর নড়াইলে সুলতান উৎসব উদযাপন করা হয়। এই উৎসবে বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার মানুষ আসে এবং শিল্পীকে নতুন করে চেনে ও জানে। আমাদের প্রিয় চিত্রশিল্পী মা মাটি বাংলা কৃতী সন্তান বিশ্বনন্দিত তারকা এস এম সুলতানের জয় হোক এবং তার চিত্রকমর্ হাজার হাজার বছর মানুষের অন্তরে বেঁচে থাকুক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<13515 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1