অনেক বর্ণিল শব্দজলের খেলা, অনেক বৈশাখ বয়ে যাক
হেমোগেস্নাবিনের রক্তকণিকায় আমার উত্তাল ধমনি-শিরায়।
জাগিয়ে তোলো আমাকে, আমার অন্তর্গত নদীকে, নায়েগ্রার
জলপ্রপাতের উত্তঙ্গ স্রোতে প্রসারিত হোক ইকারুশের মুক্ত
আকাশ। গুঞ্জরের মালা গলায় পরেছি, নওরোজ উৎসবে
ব্যবিলনের জমকালো প্রসাদ শিখরে দাঁড়িয়ে মেলে দিয়েছি
হৃদয়ের উদাত্ত ডানা। আকাঙ্ক্ষার নদী ক্রমেই শীতল, ছিন্ন-ভিন্ন
উঠোনে নেই স্পার্টাকাস বিদ্রোহের দ্রোহের আগুন।
অজ-পাড়াগাঁয়ে এসেছে বৈশাখ, আনন্দ মুখরিত অঙ্গনে
কালো শোকের মাতমে কফিনে ঘুমায় ট্রয়ের হেলেন।
পাথরের ফলা থেকে শানিত হাতিয়ার অগ্নিগর্ভ স্বদেশ
আমার ক্রোধের বহ্নিতে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দাও অকাল বার্ধক্যের বলিরেখা।
রক্ত-পলাশের চোখে চেয়ে দ্যাখ, সবুজ বাংলার শ্যামলিমা,
শঙ্খশুভ্র তালপাখা হাতে কলাবতী রমণীর মায়াজাল বিছানো যৌবনলীলা।
আজও মুগ্ধচিত্তে ভালোবাসার আলপনা আঁকে কৃষাণী বধূ মৃণ্ময়ী
আঁচড়ে, ক্রোম্যাগনন আলতামিরার গুহাচিত্রের রঙে রাঙিয়ে
এ যেন বৈশাখের নব আবাহন। সময়ের ঘূর্ণাবর্তে মঙ্গলের
লোহিত লাভার জীবন্ত উদ্গীরণে জেগে উঠুক ঘুমন্ত পৃথিবী
অর্গল খুলে দেয়া ঝড়োবাতাসে স্পটিকান দ্রোহের আগুনে
রণ হুঙ্কারে উড়িয়ে দাও স্বাধীনতার বিজয় নিশান। বৈশাখ
তুমি মোহন প্রিয়ার কাপোলের কালো তিল, ঈশানের ঝঞ্ঝা মেঘে
আঁকো ভালোবাসর বিশাল প্রোট্রেট-ট্রয়ের হেলেন। এসো দূরন্ত
বৈশাখ, মুক্ত প্রাণের দোলায় অশান্ত আবেগে নিস্তব্ধতার
অরণ্য জাগিয়ে দাও চাঁদের শিশুকে, আমার আত্মার অমরতাকে।