বিদেশি ঋণের ভারে যখন 'ত্রাহি ত্রাহি' অবস্থা পুরনো বন্ধু পাকিস্তানের, তখনই ইসলামাবাদকে ফের ধাক্কা দিল যুক্তরাষ্ট্র। নিজের ভূখন্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ইমরান খানের সরকার সন্তোষজনক ব্যবস্থা নিতে না পারায় অর্থ সাহায্যে বড় রকমের কাটছাঁট করল ওয়াশিংটন। যার পরিমাণ ৪৪ কোটি মার্কিন ডলার। এর আগে একই কারণে গত সেপ্টেম্বরে ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুই বার অর্থ সাহায্য কাটছাঁট করেছিল পেন্টাগন ও ওয়াশিংটন। সংবাদসূত্র : পিটিআই, এবিপি নিউজ
তবে হঠাৎ করে এই কাটছাঁট করেনি ওয়াশিংটন। গত মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সপ্তাহ তিনেক আগেই ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে ইসলামাবাদকে ওই কাটছাঁটের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়। পরে ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকেও সে কথা জানিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সন্ত্রাস দমনে ইমরান সরকারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষের কথাও সেই বৈঠকে গোপন করেননি ট্রাম্প।
কেরি লুগার বারম্যান আইন অনুযায়ী পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য দেয়ার জন্য ২০০৯ সালের অক্টোবরে একটি বিল পাস হয় মার্কিন কংগ্রেসে। তাতে ইসলামাবাদকে পাঁচ বছরে মোট ৭৫০ কোটি ডলার অর্থ সাহায্যের প্রস্তাব কংগ্রেসে অনুমোদিত হয়। সেই লক্ষ্যে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। যার নাম- 'পাকিস্তান এনহ্যান্সড পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট' (পেপা)। কিন্তু পরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপড়েনের পরিপ্রেক্ষিতে সেই অর্থ সাহায্যের পরিমাণ কমিয়ে করা হয় ৪৫০ কোটি ডলার। এবার তা আরও ৪৪ কোটি কমিয়ে দেয়া হলো। ফলে, মার্কিন অর্থ সাহায্যের পরিমাণ কমে দাঁড়াল ৪১০ কোটি ডলার।
তবে সন্ত্রাস দমনে ইসলামাবাদের পদক্ষেপে যে তারা সন্তুষ্ট নয়, অর্থ সাহায্য কাটছাঁট করে তা আগেও পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৩০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা সহায়তা কাটছাঁট করে ওয়াশিংটন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পেন্টাগন জানিয়ে দেয় যে, ১০০ কোটি ডলার অর্থ সাহায্য দেয়ার কথা ছিল ইসলামাবাদকে, সন্ত্রাস দমনে পাক সরকারের ভূমিকায় সন্তুষ্ট না হওয়ার ফলে তা আর দেয়া হবে না।