শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষিপণ্য রপ্তানি অগ্রগতি বজায় থাকুক

নতুনধারা
  ০২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

একটি দেশের সাবির্ক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে রপ্তানি বাণিজ্য যে অন্যতম গুরুত্বপূণর্ ভ‚মিকা পালন করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অজের্নর মধ্যদিয়ে অথৈর্নতিক যে গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়, তা দেশ ও জাতির সামগ্রিক অগ্রগতির ক্ষেত্রেই ইতিবাচক। সঙ্গত কারণেই রপ্তানি বাণিজ্যে অগ্রগতি ধরে রাখতে সবোর্চ্চ উদ্যোগ জারি রাখার বিকল্প নেই বলেই আমরা মনে করি। একই সঙ্গে বলা দরকার যে, রপ্তানি বা রপ্তানি আয় নিয়ে কোনো ধরনের আশঙ্কা সৃষ্টি হলে তার পরিপ্রেক্ষিতেও যত দ্রæত সম্ভব সংকট চিহ্নিত করে সমাধানের লক্ষ্যে কাযর্কর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা জরুরি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কৃষিপণ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূণর্ রপ্তানিযোগ্য পণ্য। এ ছাড়া দেশের কৃষিপণ্যের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন নেই। সম্প্রতি যখন জানা গেল, চলতি ২০১৭-১৮ অথবর্ছরের শুরু থেকেই ইতিবাচক ধারায় রয়েছে দেশের কৃষিপণ্য রপ্তানি এবং শেষ পযর্র্ন্ত এ ধারা অব্যাহত রয়েছেÑ তখন তা ইতিবাচক। আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্টদের কতর্ব্য হওয়া দরকার অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাবির্ক প্রচেষ্টা জারি রাখা।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা যায়, গত জুলাই-মে সময়ে কৃষিপণ্যে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশ। মোট আয় ৬০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের প্রধান কৃষিপণ্যের মধ্যে রয়েছে চা, সবজি, ফুল, ফল, মসলা, শুকনো খাবার ইত্যাদি। এর মধ্যে ১১ মাসে চা ও সবজি বাদে অন্যসব উপখাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে। তথ্য মতে, ২০১৭-১৮ অথর্বছরের প্রথম ১১ মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার মাকির্ন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৬০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৭ দশমিক ০৪ শতাংশ বেশি। আর ২০১৬-১৭ অথর্বছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায়ও ১৮ দশমিক ০৯ শতাংশ বেশি। গত অথর্বছরের ২০১৬-১৭ প্রথম ১১ মাসে এ খাতের আয় ছিল ৫১ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। চলতি ২০১৭-১৮ অথর্বছরের পুরো সময়ে কৃষিপণ্যে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিধার্রণ করা হয়েছে ৫৭ কোটি ৬০ লাখ মাকির্ন ডলার। গেল ২০১৬-১৭ অথর্বছরে এ খাতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৩১ লাখ মাকির্ন ডলার। ২০১৫-১৬ অথর্বছরে আয় হয়েছিল ৫৯ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার মাকির্ন ডলার।

এ ক্ষেত্রে বলা দরকার, এ খাতের পণ্যের মধ্যে চা খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। দিন দিন পণ্যটির রপ্তানির পরিমাণ কমছে। এ ছাড়া জুলাই-মে মেয়াদে সবজি রপ্তানিতে আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। আমরা বলতে চাই যে, যেসব কৃষিপণ্য লক্ষ্যমাত্রা অজর্ন করতে পারেনি, সেগুলোকে আমলে নিয়ে কাযর্কর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পাশাপাশি কৃষিপণ্যের গুণগত মান এবং বিশ্ববাজারে চাহিদা বৃদ্ধিতেও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। রপ্তানি আয় বৃদ্ধির যাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ নিশ্চিত হবে এমনটি কাম্য।

সবোর্পরি আমরা সংশ্লিষ্টদের বলতে চাই, কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয় বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক রপ্তানি আয়কে আরও গতিশীল করতেও উদ্যোগ নিন। এ ছাড়া দেশে সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্য আছে সেগুলোকে কাজে লাগাতে সচেষ্ট হোন। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, সফল হতে হলে পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা অপরিহাযর্। কৃষিপণ্যে রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ নিশ্চিত হোক এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে