শুটিং রেখে ঘরে...
গত ২২ মার্চ থেকে শুটিং বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। আমি শুটিং বন্ধ করেছি ১৬ মার্চ থেকে। ১৯ ও ২০ মার্চ আদিত্য জনির নির্দেশনায় নতুন একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিং ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কথা ভেবেই এ শুটিং করা হয়নি। সর্বশেষ শুটিং করেছিলাম প্রচার চলতি ধারাবাহিক নাটক 'বকুলপুর'-এর।
আটকে গেছে ঈদের নাটক...
এই সময়টা ঈদের নাটক নির্মাণের মৌসুম। টিভি নাটক সংশ্লিষ্টদের দারুণ ব্যস্ত থাকার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সব বন্ধ হয়ে গেছে। ছয়-সাত পর্বের কয়েকটি ধারাবাহিক ও খন্ডসহ ঈদের ৭-৮টি নাটকের কাজ ছিল আমার হাতে। এপ্রিলের প্রথম থেকেই শুটিং হওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়া প্রচার চলতি ধারাবাহিকগুলোর পাশাপাশি একাধিক নতুন ধারাবাহিক নাটকেরও শুটিং ছিল। পরিস্থিতি অনুকূলে না হওয়ায় সবকাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি...
অদৃশ্য এক শত্রম্নর সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি কখনো আমাদের দেশে হয়েছে বলে আমার জানা নেই। প্রকৃতির প্রতি আমাদের বিরূপ আচরণের কারণেই হয়তো এমন হওয়াটা জরুরি ছিল। এমন পরিবেশে প্রকৃতি আমাদের যেন একটু থামতে শেখাল। তবে, সৃষ্টিকর্তার করুণায় আবার সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আমরা আবার এগিয়ে যাব আপন গতিতে।
সময় কাটছে...
আমি সব কিছু ইতিবাচক হিসেবেই দেখি। এই সময়টা আমার কাছে কোনো বিরক্ত না। একটু রিলাক্স লাগছে। সারা বছর শুটিংয়ের কাজে বাইরে ব্যস্ত থাকায় ঘরের কাজ করা হয় না। এখন প্রচুর সময়, সংসারে সময় দিতে পারছি। স্বামী, দুই সন্তানসহ পরিবারের পিছনে প্রতিটি দিন পার হচ্ছে। আমার কাছে একটি দিন পার হচ্ছে, যেন সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। পরিবারের সবাইকে এভাবে দীর্ঘ সময় আর হয়তো নাও পেতে পারি।
সচেতনতায়...
সার্বিকভাবে বিবেচনা করলে এই পরিস্থিতি দীর্ঘদিন হলে আসলে সবার জন্য হুমকিস্বরূপ। এমনো ব্যক্তি আছে শুটিং চললে খাবার জোটে নইলে উপোস থাকতে হয়। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রয়োজনের বেশি নিত্যপণ্য না কেনাটাই শ্রেয়।