দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি। পাইকারি বাজারে ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি। একই অবস্থা বেগুন, বঁাধাকপি, মুলার ক্ষেত্রেও। তবে পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে এর দাম অনেক বেশি।
এবার শীতকালীন সবজি ফুলকপি, বঁাধাকপি, মুলা, বেগুন ও গাজরের উৎপাদন বেড়েছে। এই কারণে বাজারে সবজির আমদানিও বেড়েছে। উৎপাদন ও আমদানি বাড়ায় শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে।
ফুলবাড়ী পৌরবাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি ২০০ টাকা (৪০ কেজি) মণ দরে বিক্রি হচ্ছে, বঁাধাকপি ১৫০ টাকা, বেগুন ২০০ টাকা, মুলা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০০ টাকা মণ দরে।
রাজারামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান জানান, তিনি মাত্র ৮০ টাকা মণ দরে মুলা বিক্রি করেছেন। ফারুক হোসেন বলেন, ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছে বেগুন। তবে পাইকারি বাজারে সবজির দাম কম হলেও খুচরা বাজারে এর দাম অনেক বেশি। পাইকারি বাজারে ৫ টাকা কেজি দরে ফুলকপি বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে এর দাম ১৫ টাকা কেজি। বেগুন ও বঁাধাকপির দামও পাইকারি বাজার অপেক্ষা খুচরা বাজারে অনেক বেশি।
ফুলবাড়ী বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহজামাল বলেন, গত একসপ্তাহের ব্যবধানে শীতকালীন সবজির দাম প্রতি কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা পযর্ন্ত কমে অধেের্ক নেমেছে। বতর্মানে বাজারে শীতকালীন সবজি প্রতি কেজি পাতা পিঁয়াজ ৬০ থেকে কমে হয়েছে ৩০, ফুলকপি ৩০ থেকে কমে হয়েছে ১২, বঁাধাকপি ২০ থেকে কমে হয়েছে ১০, শিম ৫০ থেকে কমে হয়েছে ৩০, মুলা ১০ থেকে কমেছে হয়েছে ৪, লাউ ২০ থেকে কমে হয়েছে ১০, করলা ৫০ থেকে কমে হয়েছে ৪০, বেগুন ২০ থেকে কমে হয়েছে ১০, বটবটি ২০ থেকে কমে হয়েছে ১৫, পালংশাক ৫ থেকে কমে হয়েছে ২, টমেটো ৮০ থেকে কমে হয়েছে ৭০, শসা ৪০ থেকে কমে হয়েছে ৩০, ওলকচু ৪০ থেকে কমে হয়েছে ৩০ টাকা।
তবে এখনো নতুন আলু বাজারে না ওঠায় আলুর দাম অপরিবতির্ত রয়েছে।
পৌর শহরের সবজি বিক্রেতারা বলেন, স্থানীয়ভাবে শীতকালীন সবজির উৎপাদন ও আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে সবজির দাম কমেছে।