রাজধানীর খিলগঁাওয়ের দক্ষিণ গোড়ান এলাকায় ম্যানহোল থেকে উদ্ধার সেই অধর্গলিত নারীর মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তার নাম পারভীন আক্তার (৩৫)।
বুধবার দুপুরে স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মগের্ গিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করেন।
গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উত্তর গোড়ানের নবীনবাগ এলাকার ৪০৯/৩ নম্বর বাসার পাশে একটি ম্যানহোল থেকে তার অধর্গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢামেক হাসপাতাল মগের্ পাঠানো হয়। এ সময় তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ২-৩ দিন আগে কেউ তাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য ম্যানহোলে ফেলে গেছে।
পারভীনের ছেলে মোহাম্মদ পারভেজ জানান, তারা যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল কাউন্সিল এলাকায় থাকেন। এলাকায় ফেরি করে কাপড় বিক্রি করতেন পারভীন। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ রাম গোপালপুর। তিন সন্তানের জননী ছিলেন তিনি।
স্বজনরা জানান, প্রথম স্বামী মুকুল হোসেনের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে বিয়েবিচ্ছেদ হয় পারভীনের। এরপর বছরখানেক আগে সাগর (৩০) নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় পারভীনের। সাগর গুলিস্তানের বিভিন্ন দোকানে ফিল্টারের পানি সরবরাহ করেন।
গত ২৯ আগস্ট বিকালে কাপড় বিক্রি করতে বাসা থেকে বের হন তিনি। সন্ধ্যার দিকে ছেলে পারভেজের সঙ্গে কথা হয় তার। সেদিন অনেক রাত হয়ে গেলেও তিনি বাসায় না ফেরায় রাত ১২টার দিকে ফোন দিয়ে সেটা বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর আর কোনো হদিস মিলেনি পারভীনের। সে জন্য যাত্রাবাড়ী-খিলগঁাওসহ আশপাশের বিভিন্ন থানায় তার সন্ধানে যোগাযোগ করা হয়।
মঙ্গলবার খিলগঁাও থানা পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুপুরে স্বজনরা ঢামেকে গিয়ে পারভীনের মরদেহ শনাক্ত করেন। তবে হত্যাকাÐের কোনো কারণ বুঝতে পারছেন না স্বজনরা, এমনকি কাউকে সন্দেহও করতে পারছেন না তারা।
অবশ্য, খিলগঁাও থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ (ওসি) মশিউর রহমান জানান, হত্যাকাÐের কিছু ক্লু পাওয়া গেছে, ওই ক্লু ধরে পুলিশ কাজ করছে।