রাজশাহীতে অটোরিকশাচালক জমিস উদ্দিন জয়কে (২০) গলাকেটে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৩ জনের কাছ থেকে গুরুত্বপূণর্ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। অটোরিকশা চুরির উদ্দেশ্যেই চালককে মাদক সেবন করানোর পর গলা কেটে হত্যা করে বলে স্বীকারক্তি দিয়েছে অভিযুক্তরা।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শাহমখদুম থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার হেমায়েতুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি রাজশাহী মহানগরী থেকে নিহত অটোচালক জয় তার অটো নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়। পরের দিন নিহতের আত্মীয় থানায় জিডি করলে গত বুধবার রাতে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার জলাহার গ্রামের কাবের্র মোড়ের পাশে একটি পুকুরে গলাকাটা অবস্থায় জয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে গোদাগাড়ী থানার মাটিকাটা গ্রামের রাজিব আলীকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাজিবের দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে অপর দুই আসামি জসিম উদ্দিন (২৩) ও সুমন আলীকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুইজন মহানগরীর তৃপ্তি নামক একটি হোটেলে কাজ করতো।
রাজিব আলীর দেয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ কমর্কতার্ বলেন, আসামী জসিম ও সুমন নিহত জয়ের অটোতে করে গোদাগাড়ীতে আসে। পরে তারা রাজিবকে মাদকদ্রব্য নিয়ে আসতে বলে। ঘটনাস্থলে আসামিরা বসে মাদক সেবন করে। এসময় তারা নিহত জয়কেও মাদক খাওয়ায়। একপযাের্য় সন্ধ্যা নামার পর জমিস ও সুমন অটোচালক জয়কে জঙ্গলের কাছে নিয়ে যায়।
এ সময় আসামি সুমন মাদকাসক্ত অটোচালক জয়ের পাদুটো চেপে ধরে ও অপর আসামি জসিম অটোচালকের গলায় ছুরি চালায়। তবে ঘটনাক্রমে মাদক সরবরাহকারী সেই রাজিব আবার ঘটনাস্থলে ফিরে আসলে, সে সমস্ত ঘটনা দেখে ফেলে। পরে জয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করে তিনজন মিলে লাশটি জঙ্গলে ফেলে রেখে চলে আসে।
হত্যার পর জসিম ও সুমনের গায়ের রক্তমাখা পোশাক জসিম তার বাড়িতে রাখে। আর চুরি করা অটো রিকশাটি নাটোরে জসিমের দুলাভাইয়ের বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। নিহত অটোচালক জয়কে হত্যার আলামত হিসেবে সেই ছুরি, অটোরিকশা ও ঘটনার দিন পরিহিত আসামিদের পোশাকসহ ৩ জন আসামি এখন থানা হেফাজতে।