আন্দোলনের জের ধরে নিরপরাধ পোশাক শ্রমিকদের যাতে হয়রানি করা না হয় সেজন্য সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান।
গামের্ন্ট শ্রমিকদের এই অসন্তোষের পেছনে গত বছর ঘোষিত মজুরি কাঠামো বতর্মান ‘বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতিপূণর্ না হওয়ার’ কথা বলেছেন তিনি।
মজুরি কাঠামো প্রণয়নের সময় মন্ত্রী থাকা শাজাহান খান বলেছেন, শ্রমিকদের মতামতকে বিবেচনায় না নিয়ে মালিকপক্ষ সরকারকে দিয়ে ওই মজুরি নিধার্রণ করিয়েছিল।
ভবিষ্যতে এই শিল্পে যে কোনো শ্রম অসন্তোষ দেখা দিলে শক্তি প্রয়োগ না করে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করতে সব মহলের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সেগুনবাগিচায় স্বাধীনতা হলে ‘তৈরি পোশাক শিল্পের বিরাজমান পরিস্থিতি ও করণীয় শীষর্ক’ গামের্ন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন পরিষদের আহŸায়ক শাজাহান খান।
তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নিধার্রণ করে গত ২৫ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সরকার। ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে তা কাযর্কর করার নিদের্শনা দেয়া হয় সেখানে।
ওই মজুরি কাঠামোর কয়েকটি গ্রেডে বেতন কমে যাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে গত ৬ জানুয়ারি থেকে ঢাকা ও আশপাশের গামের্ন্ট অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বিক্ষোভ দেখায় পোশাক শ্রমিকরা। অনেক কারখানায় নিধাির্রত সময়ে নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন হয়নি বলেও শ্রমিকদের অভিযোগ রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে মজুরি কাঠামো পুনঃমূল্যায়নে গত ৯ জানুয়ারি শ্রম সচিবকে প্রধান করে ১২ সদস্যের ত্রিপক্ষীয় পযাের্লাচনা কমিটি করে দেয় সরকার। এরপর এ কমিটির সিদ্ধান্তে ১৩ জানুয়ারি ছয়টি গ্রেড সংশোধন করে মোট বেতন ১৫ টাকা থেকে ৭৮৬ টাকা বাড়িয়ে সবের্শষ মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা হয়।
এরপর শ্রমিকরা কারখানায় ফিরলেও বিক্ষোভে উসকানি এবং ভাংচুর-লুটপাটসহ নানা অভিযোগে মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্দোলনের পর নিরপরাধ শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, আমরা দাবি করছি, নিরপরাধ কোনো শ্রমিক যেন হয়রানির শিকার না হয় এবং কোনো নিরপরাধ শ্রমিক ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হলে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।