বাংলাদেশ হাইটেক পাকের্ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎপাদনের শুরু থেকে প্রথম ৭ বছর শতভাগ কর ছাড় দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পরবতীর্ তিন বছর ৭০ শতাংশ কর অব্যাহতির জন্য অথর্মন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোডর্ (এনবিআর)। অথর্ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ হাইটেক পাকর্সমূহে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রদেয় কর সুবিধা বৃদ্ধিপূবর্ক এস,আর,ও সংশোধন প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান গত ১৮ অক্টোবর একটি সারসংক্ষেপ অথর্মন্ত্রীর কাছে পাঠান।
এতে বলা হয়, হাইটেক পাকের্ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বতর্মান বিষয়ে উল্লেখিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পরিচালিত ব্যবসায়িক কাযর্ক্রম হতে উ™ভূত সব আয়ের ওপর প্রদেয় আয়কর থেকে উৎপাদনের সময় হতে প্রথম তিন বছরের জন্য শতভাগ, চতুথর্ বছরে ৮০, পঞ্চম বছরে ৭০, ষষ্ঠ বছরে ৬০, সপ্তম বছরে ৫০, অষ্টম বছরে ৪০, নবম বছরে ৩০ এবং দশম বছরের জন্য ২০ শতাংশ হারে কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রদত্ত সুবিধাগুলো পযাের্লাচনার জন্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে গত ২ অক্টোবর গণভবনের সভাকক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোডের্র চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বাংলাদেশ হাইটেক পাকের্ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎপাদনের সময় থেকে প্রথম ৭ বছর শতভাগ এবং পরবতীর্ তিন বছর ৭০ শতাংশ কর অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকের সুপারিশ কাযর্কর করতে হলে আয়কর আইনে বতর্মানে জারি করা এস,আর,ও সংশোধন প্রয়োজন। এ অবস্থায় উল্লেখিত সুপারিশের আলোকে বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন সংশোধনের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর আওতায় বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন সংশোধনপূবর্ক নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এসব প্রস্তাব অথর্মন্ত্রীর অবলোকন ও অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলো।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সূত্র জানায়, বাংলাদেশ হাইটেক পাকর্ কতৃর্পক্ষ আইন-২০১০ অনুযায়ী সরকার হাইটেক শিল্প স্থাপনের উদ্দেশ্যে নিদির্ষ্টকৃত স্থান অথবা সরকার কতৃর্ক অনুমতিপ্রাপ্ত হাইটেক শিল্প স্থাপনের উদ্দেশ্যে ব্যক্তি-উদ্যোক্তা কতৃর্ক নিদির্ষ্টকৃত স্থানকে বোঝায়। এ ছাড়া সরকার কতৃর্ক ঘোষিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, টেলিকমিউনিকেশন এবং তথ্যপ্রযুক্তি নিভর্র শিল্পের জন্য প্রতিষ্ঠিত আইটি পাকর্, আইটি ভিলেজ, টেকনোলজি পাকর্, সফটওয়্যার টেকনোলজি পাকর্, বায়োটেক পাকর্, রিনিউএবল এনাজির্ পাকর্, গ্রিন টেকনোলজি পাকর্, হাডর্ওয়্যার পাকর্ ও সায়েন্স পাকর্ও এর অন্তভুর্ক্ত হবে।