একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন শেষে এবার উপজেলা পরিষদ নিবার্চন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলা নিবার্চন অফিস।
ইতোমধ্যে ভোটকেন্দ্র, ভোটকক্ষ এবং ভোটগ্রহণ কমর্কতাের্দর নামের তালিকাসহ একাধিক তথ্য চেয়ে উপজেলা নিবার্চন অফিসগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
রোববার জেলা নিবার্চন অফিসে গিয়ে কমর্কতার্-কমর্চারীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।
কমর্কতাের্দর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিবার্চন কমিশন (ইসি) ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের তালিকা চেয়েছে। সে অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের তালিকা তৈরির জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং কমর্কতাের্দর নামের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
জেলা নিবার্চন অফিসের উচ্চমান সহকারী আবুল খায়ের বলেন, নিবার্চন কমিশন (ইসি) নিদের্শনা না দিলেও ভোটগ্রহণের কাজগুলো ধীরে ধীরে সম্পন্ন করা হচ্ছে।
‘চট্টগ্রামে ১৪টি উপজেলা পরিষদের নিবার্চন হবে। কণর্ফুলী উপজেলার নিবার্চন শেষে এখনো ৫ বছর পূণর্ না হওয়ায় সেখানে নিবার্চন হবে না’ বলেন আবুল খায়ের।
সিনিয়র জেলা নিবার্চন কমর্কতার্ মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, ‘ভোটগ্রহণ কমর্কতাের্দর তালিকা চাওয়া হয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ছক তৈরির কাজ চলছে। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তালিকা তৈরির কাজও শুরু হয়েছে।’
‘কয়েক ধাপে উপজেলা পরিষদ নিবার্চন সম্পন্ন করবে ইসি। প্রথম ধাপের নিবার্চন মাচের্ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর নিবার্চনও ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে বিভিন্ন উপজেলায় রাজনৈতিক নেতাকমীের্দর মধ্যেও ভোটের আমেজ দেখা দিয়েছে। জাতীয় নিবার্চনে শোচনীয় পরাজয়ের পর উপজেলা নিবার্চন নিয়েও বিএনপি একেবারে চুপ থাকলেও আওয়ামী লীগে বইছে নিবার্চনের হাওয়া।
খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে, পছন্দের প্রাথীর্র নামে শুভেচ্ছা ব্যানার ছাপিয়ে কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন অনেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও একই কায়দায় চলছে প্রচারণা।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে উপজেলা ১৫টি। এগুলো হচ্ছে-মিরসরাই, ফটিকছড়ি, স›দ্বীপ, সীতাকুÐ, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, পটিয়া, কণর্ফুলী, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও বঁাশখালী।