আজকের যায়যায়দিন

যাযাদি রিপোর্ট সমগ্র বাংলাদেশে আন্দোলন দানা বেঁধেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি। সেলিমা বলেন, 'খালেদা জিয়া জনগণের জন্য কারারুদ্ধ। কারণ, তিনি জানেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাকে মুক্ত করবেই। আর আজকে সমগ্র বাংলাদেশে আন্দোলন দানা বেঁধেছে।' তিনি বলেন, 'এখন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা অপেক্ষা করছে কখন রাজপথে নামবে, কখন এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। তারা সাহস পাচ্ছে না, কারণ তাদের সন্তানকে, তাদের কন্যাসন্তানকে, তাদের কিশোরী সন্তানকে, তাদের শিশুসন্তানকে রাজপথে নামলেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী না হয় হত্যা করবে।' সেলিমা বলেন, 'বর্তমান সরকার আমাদের আইনি অধিকার নিতে দিচ্ছে না। তাই আমাদের একটিই লক্ষ্য; আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। তাই আমরা জনগণকে আহ্বান জানাতে চাই, আপনাদের গণতন্ত্রের মাতা আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আপনারা রাস্তায় নেমে আসুন। কারণ, খালেদা জিয়ার মুক্তি মানে গণতন্ত্রের মুক্তি, খালেদা জিয়ার মুক্তি মানেই স্বাধীনতার মুক্তি। তাই আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বারবার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব ইনশাআলস্নাহ।' সেলিমা রহমান আরও বলেন, 'এখন আমরা পত্রিকার পাতা খুললেই দেখতে পাই চামড়ার দামে ধস নেমেছে, রড দিয়ে হামলা চলছে, খুন-গুম-হত্যা চলছে, শিশু-নারী হত্যা চলছে। মানুষ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না, কারণ তারা জানে আজকে যদি তারা কথা বলে তবে তাদের ওপর সন্ত্রাসী বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়বে। দেশে গণতন্ত্র নেই, কারণ বর্তমান ভোটারবিহীন যে সরকার মধ্যরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, তারা তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে জোর করে কারাগারে আটকে রেখেছে। শুধু তাই নয়, তারা জনগণের ওপর অত্যাচারের স্টিমরোলার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা জনগণকে কথা বলতে দিচ্ছে না। বিশেষ করে নারী ও শিশুর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। জাতীয়ভাবে আমাদের শুধু নারী ও শিশু নির্যাতন দিবস পালন করলে চলবে না; আমাদের সব নারী সমাজকে রাজপথে নেমে আসতে হবে।' তিনি বলেন, 'আপনারা দেখেছেন যে, মিন্নি স্বামীকে বাঁচানোর জন্য সন্ত্রাসী বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল। সেই মিন্নিকে অন্যায়ভাবে আটক করে তার ওপর পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে মিথ্যা জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে। ক্ষমতায় থেকে যারা এই সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছে, তাদের যাতে কোনো দোষ না হয় সে জন্য তারা নয়ন বন্ডকে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে।' মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা দলের সাবেক সভানেত্রী নূরে আরা সাফা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।