শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন লোক দেখানো: মওদুদ

নতুনধারা
  ০৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
জাতীয় প্রেসক্লাবে শুক্রবার আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ -যাযাদি

যাযাদি রিপোর্ট ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে যে আয়োজন চলছে তা 'লোক দেখানো' বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, 'আমি বলব এটা একটা লোক দেখানো নির্বাচন। হৈ চৈ হবে, মিছিল-টিছিল হবে, টেলিভিশনে আপনারা মিছিলও দেখবেন, সবাই স্স্নোগান-টোলোগান দেবেন। নির্বাচনের দুই দিন আগে দেখবেন সব ঠান্ডা।' এই সংশয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিএনপি নেতা মওদুদ বলেন, 'বৃহস্পতিবার আমাদের একজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে ধরে নিয়ে গেছে। একদিকে গ্রেপ্তার চলছে, ভয়-ভীতি-আতঙ্ক চলছে, অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচার চলছে। এগুলো লোক দেখানো। আমি বলব, এই নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রহসন ছাড়া অন্য কিছু না।' তারপরও বিএনপি কেন নির্বাচনে যাচ্ছে- সেই ব্যাখ্যায় মওদুদ বলেন, 'আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি কারণ আমরা জনগণের সমর্থিত রাজনৈতিক দল। আমরা মনে করি, যদি দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে, এই সিটি নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরাজিত করবে। কিন্তু সেটা তারা (সরকার) করতে দেবে না- এটাও আমরা জানি। সে জন্য এটা (সিটি নির্বাচন) শুধু লোক দেখানো। গণতন্ত্রের যে মৃতু্য ঘটেছে বাংলাদেশে, সেটা এই সরকার আবার এ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করবে।' শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে 'স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার হরণ এবং আজকের বাস্তবতা, খালেদা জিয়ার জামিন প্রাপ্য কিন্তু প্রতিহিংসার বিচারে অবরুদ্ধ জামিন' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, 'আমরা এবার আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে মাঠে, ময়দানে থাকব। খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র ফিরে না আসা পর্যন্ত ঘরে ফিরব না। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। যদি আন্দোলনের মতো আন্দোলন করতে পারি অবশ্যই সফল হব। আর যদি না করতে পারি তাহলে দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো গতি থাকবে না।' তিনি বলেন, ২০১৯ সালে সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অর্থনীতি, কৃষি, আইনশৃঙ্খলা বিচার বিভাগসহ সব ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। দেশের জনগণ এ সরকার আর চায় না। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, খালেদা জিয়া গ্রেপ্তারের পর এখন পর্যন্ত একটা মিছিল হয়নি। দুই বছর পরে আন্দোলন হতে পারে। তবে আপনাদের ঠিক করতে হবে, আন্দোলন করবেন কি না? আন্দোলন করতে হলে আন্দোলনের মতো করতে হবে। গণতন্ত্রহীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারে না। রাষ্ট্র পরিচালনা করতে দেবো না। এটাই আমার কথা। তিনি বলেন, একদিকে রোহিঙ্গারা দেশে অবস্থান করছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক বলেছেন অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ৪৪৫ জন। আমি জানতে চাই, দেশের মানুষ জানতে চায়- মোট কতজন অনুপ্রবেশকারী দেশ ঢুকেছে। কবে তারা ভারত গিয়েছিল, কত বছর থেকেছে। ক্ষমতার লোভে সরকার মুখ খুলছে না। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে মূল্য বাড়ছে। ক্রয় ক্ষমতা সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। বড় লোক আরও বড় হচ্ছে। গরিব আরও গরিব হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার আর থাকতে পারে না। জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের উদ্যোগে সভায় সভাপতিত্ব করেন তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন ইসলাম খান, অধ্যক্ষ শাহ মো. নেছারুল হক, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে