বিয়ে করলেন মেহেদী হাসান
ক্রীড়া প্রতিবেদক
অনেকটা হঠাৎ করেই যেন ক্রিকেট পাড়ায় বিয়ের ধুম পড়েছে। সম্প্রতি বিয়ে করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হাসান শান্ত, সাদমান ইসলামরা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান।
রোববার সন্ধ্যায় খুলনার এ তরুণ তারকা ক্রিকেটার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বয়রায় মেহেদীর মামার বাসায় একেবারেই ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের জীবনসঙ্গিনীর নাম ঋতু। তিনি খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হিসেবে অধ্যয়নরত আছেন।
বিয়ে করলেও পরদিনই খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন এই মেহেদী। সকলের কাছে দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, 'নতুন পথচলায় সবাইকে পাশে পেতে চাই। সবার দোয়া চাই।'
এছাড়া পারিবারিক ইচ্ছেতেই এই বিয়ে হয়েছে বলে জানান মেহেদী। বিয়ের ব্যাপারে এই অলরাউন্ডার বলেন, 'করোনার কারণেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বড় করা হয়নি। করোনা পরবর্তী সময়ে বড় করে অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা আছে। দুই পরিবারের একেবারেই ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।'
এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয় : জিমি
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রথমবার বাবা হলেন বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের অন্যতম সেরা তারকা রাসেল মাহমুদ জিমি। সোমবার দুপুর ১.১৫ মিনিটে তাদের ঘর আলো করে এসেছে কন্যা সন্তান। জিমি জানান, মা ও মেয়ে দুজনই সুস্থ আছে। বাবা হওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জিমি বলেন, এ অনুভূতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করার নয়।
সোমবার কথা হলো তারকা এ হকি খেলোয়াড়ের সঙ্গে। বাবা হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'অনেক খুশি আমি। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সে কী যে আনন্দ। প্রথমবার বাবা হয়েছি। আমরা নিশ্চিত ছিলাম না ছেলে হবে নাকি মেয়ে। কারণ আলট্রাসনোতে জানতে চাইনি। মেয়ের বাবা হতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
মেয়ের কোনো নাম ঠিক করেছেন কি না, জানতে চাইলে জিমির উত্তর- 'না, এখনো নাম ঠিক করিনি। ওর মা আরেকটু সুস্থ হোক। পরে সবাই মিলে নাম ঠিক করব ইনশালস্নাহ। দোয়া করবেন। দেশবাসীর কাছেও দোয়া চাই।' ২০১৫ সালের মার্চে ফারজানা আক্তার লাকীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দেশসেরা হকি খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমি। এশিয়া কাপ হকিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
বিদু্যতের বিল দেখে চমকে উঠলেন হরভজন
ক্রীড়া ডেস্ক
করোনায় এবার বিদু্যতের বিল নিয়ে অনেকেরই ঘাম ছুটে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলিব্রেটি, সবার একই অবস্থা। বিদু্যতের বিল দেখে ঘুম উড়েছে সাধারণ মানুষের। একই অবস্থা সেলিব্রেটিদেরও। করোনা পরিস্থিতিতে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। লকডাউনের জেরে বহু মানুষ ঘরে বসে রয়েছেন। কাজ নেই। এর মধ্যে বিদু্যৎ সংস্থাগুলো অত্যাচার করছে।
অনেকেই অভিযোগ করেছেন, করোনা আবহে মনগড়া বিল বানিয়ে বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে। ভারতীয় দলের প্রাক্তন তারকা হরভজন সিংও এবার একই অভিযোগ করলেন। তার বাড়িতে গড়ে যা বিল আসে তার থেকে এবার সাত গুণ বেশি এসেছে। যা দেখে অবাক ভাজ্জি।
হরভজন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'এত বিল! গোটা মহলস্নার বিল কি আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছে না কি! ৩৩,৯০০ টাকা! গড়ে যা বিল আসে তার থেকে সাত গুণ বেশি! বাহ্!' হরভজনের এই টুইট যেন সাধারণ মানুষকে সমর্থন জুগিয়েছে। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় অনেক বাড়িতে বিরাট অঙ্কের বিদু্যৎ বিল পাঠিয়েছে সিইএসসি। তা নিয়ে বহু জায়গায় সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ জানিয়েছে। তবে সিইএসসি নিজেদের অবস্থানে অনড়।
তাদের দাবি, তারা না কি সঠিক বিল পাঠিয়েছে। বহু বাড়িতে গড় বিলের থেকে পাঁচ-সাত গুণ বেশি এসেছে এবার। এই পরিস্থিতিতে এত টাকা বিদু্যৎ বিল কোথা থেকে মেটাবেন সেটাই বুঝে পাচ্ছেন না বহু মানুষ।
আদানি ইলেকট্রিসিটি মুম্বাই ও সংলগ্ন এলাকায় বিদু্যৎ সরবরাহ করে। তাদের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ। অনেকেই দাবি করেছেন, গত দু মাস ধরে মিটার রিডিং করতে বাড়িতে কোনো কর্মী আসেননি। এর পর মনগড়া বিল পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এবার আদানি ইলেকট্রিসিটির বিরুদ্ধে হরভজনও সোচ্চার হলেন। প্রায় ৩৪ হাজার টাকার বিল ১৭ আগস্টের মধ্যে মেটাতে হবে ভাজ্জিকে। হরভজনের কথামতো সাধারণত তার মুম্বইয়ের বাড়িতে বিল আসে সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা।