কাগজে কলমে মৌসুমের সেরা দল বসুন্ধরা কিংস। নোফেল স্পোটির্ং ক্লাব সেখানে তরুণদের নিয়ে গড়া মাঝারিমানের দল। সেই দলটিই মঙ্গলবার চমক উপহার দিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ‘ডি’ গ্রæপের খেলায় শক্তিধর বসুন্ধরাকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে তারা। এতেও অবশ্য মৌসুমসূচক টুনাের্মন্ট ফেডারেশন কাপ থেকে নিজেদের বিদায় ঠেকাতে পারেনি নোফেল।
তারকা সমৃদ্ধ নবাগত দল বসুন্ধরার সঙ্গে নোফেলের শক্তির ব্যবধানটা বিস্তর। কিন্তু মঙ্গলবার সেই পাথর্ক্য সেভাবে বুঝতেই দেয়নি নবাগত দলটি। লড়াই করে পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়ে তবেই মাঠ ছেড়েছে কামাল বাবুর শিষ্যরা। ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পেতেই বসুন্ধরাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীঘর্ সময়। ৩৭ মিনিটে ম্যাচে লিড নেয় তারা। সতীথের্র কাছ থেকে পাওয়া দারুণ ক্রসে বল পেয়ে ফঁাকায় দঁাড়িয়ে থাকা মাসুক মিয়া জনি সরাসরি বল জড়ান জালে (১-০)। দ্বিতীয়াধের্ ম্যাচে ফিরতে মরিয়া নোফেল আক্রমণের চেষ্টা করে। সফলও হয়।
৪৭ মিনিটে কলিন্ড্রেসের মাপা স্পট কিক বক্সে ব্যক হেড করতে গিয়েছিলেন মতিন মিয়া। কিন্তু তার আগেই এগিয়ে এসে বল ক্লিয়ার করেন নোফেলের গোলরক্ষক। ৫২ মিনিটে আরও একটি ফ্রি কিক পায় বসুন্ধরা। এবার সরাসরি পোস্ট লক্ষ্য করে কিক নেন কলিন্ড্রেস। বল প্রায় বার ঘেষে বাইরে চলে যায়। ৫৫ মিনিটে বা প্রান্ত দিয়ে ইব্রাহিম বল নিয়ে ব্যাকপাস করেছিলেন সতীথের্র উদ্দেশ্যে। কিন্তু নিদির্ষ্ট লক্ষ্যে পেঁৗছার আগেই বল ছেঁা মেরে নিয়ে যান নোফেলের ডিফেন্ডার। ৬০ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে দারুণ একটা বল বানিয়ে দিয়েছিলেন কলিন্ড্রেস। কিন্তু শট নিয়ে লক্ষ্যে স্থির থাকতে পারেননি মাসুক মিয়া জনি।
৬১ মিনিটে বক্সের মাথা থেকে ইসমাইল বাঙ্গুরার বাড়িয়ে দেয়া বল বুঝে নিয়ে ডান পায়ের প্লেসিংয়ে আনিসুর রহমান জিকোকে পরাস্ত করেন আশরাফুল ইসলাম (১-১)। ৭৫ মিনিটে কলিন্ড্রেসের কতার্র বক্সে পেয়ে নিচু শট নেন মতিন মিয়া। বল অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। পরের মিনিটেই বসুন্ধরার বদলি ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় মাকোর্স পোস্টের বেশ কাছ থেকে যে শটটি নেন সেটি জালে জড়ায়নি। ৮১ মিনিটে মাসুদ রানা মৃধার সেটপিস ফিস্ট করেন বসুন্ধরার গোলরক্ষক। ৮৭ মিনিটে বক্সের সামান্য দূর থেকে মাকোের্সর ফ্রি কিক গোল হতে পারত। কিন্তু বক্সে ফিনিশিংয়ের দুবর্লতায় দ্বিতীয় গোল পায়নি অস্কার ব্রোজানের শিষ্যরা।
ইনজুরি টাইমে কলিনড্রেসের কোনাকোনি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ম্যাচের অন্তিম লগ্নে আরো একটি ফ্রি কিক পায় বসুন্ধরা। কিন্তু কলিন্ড্রেস এবার সুযোগ হাতছাড়া করেন। পরের ম্যাচে শেখ জামালের মুখোমুখি হয় মোহামেডান স্পোটির্র্ং ক্লাব। ডেথ গ্রæপের ওই ম্যাচটি দিয়েই শেষ হয় ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের গ্রæপ পবের্র ম্যাচ। একদিন বিরতি দিয়ে শুরু হবে কোয়াটার্র ফাইনালের ম্যাচগুলো।