শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অ্যান্টিগায় পেঁৗছে বিশ্রামে টাইগাররা

শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইটে দেশ ছাড়ে টাইগাররা। ঢাকা থেকে দুবাই, দুবাইয়ের বিরতির পর দ্বিতীয় ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহৃত হয় নিউইয়কর্- সেখান থেকে ক্যারিবীয় দ্বীপ অ্যান্টিগা পৌঁছে যাত্রার ইতি টেনেছে সফরকারীরা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ২৪ জুন ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ২৪ জুন ২০১৮, ২৩:৩৭

দেড় মাসের লম্বা সফরের ভ্রমণটাও বেশ লম্বা। দুই দিনের দীঘর্ ভ্রমণের পর অবশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যান্টিগায় পেঁৗছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। হযরত শাহজালাল আন্তজাির্তক বিমানবন্দর থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইটে দেশ ছাড়ে টাইগাররা। ঢাকা থেকে দুবাই, দুবাইয়ের বিরতির পর দ্বিতীয় ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহৃত হয় নিউইয়কর্- সেখান থেকে ক্যারিবীয় দ্বীপ অ্যান্টিগা পৌঁছে যাত্রার ইতি টেনেছে সফরকারীরা। অ্যান্টিগায় পৌছে আপাতত বিশ্রামে রয়েছেন সাকিব-তামিমরা।

ভিসা জটিলতার কারণে দলের সঙ্গে যেতে পারেননি অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ আর টিম ম্যানেজার সাব্বির খান। পাসপোটর্ পেলেই দ্রæততম সময়ের মধ্যে বিমানে চড়বেন দুজন। উইন্ডিজ সফরে টি২০ সিরিজের দুটি ম্যাচ পড়েছে ফ্লোরিডায়। যে কারণে দলের সব খেলোয়াড়কেই নিতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা। অন্যদিকে, আফগানিস্তান সিরিজ খেলে ঈদের ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়েছিলেন টি২০ এবং টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দেশে না ফিরে নিউইয়কর্ থেকেই দলের সঙ্গে অ্যান্টিগায় যোগ দেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

অ্যান্টিগায় পেঁৗছে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা নিজ নিজ ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেছেন।

দেড় মাসের সফরে বাংলাদেশ দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি২০ ম্যাচ খেলবে। অ্যান্টিগায় বাংলাদেশ দলের অনুশীলন শুরু ২৬ জুন মঙ্গলবার। আগামী ৪ জুলাই থেকে অ্যান্টিগায় বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্ট। তার আগে ২৭ ও ২৮ জুন অ্যান্টিগায় একটি দু দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। ১২ জুলাই থেকে জ্যামাইকার সাবাইনা পাকের্ অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ২২ জুলাই; গায়ানায়। পরের দুটি একদিনের ম্যাচ যথাক্রমে ২৫ জুলাই (গায়ানায়) ও ২৮ জুলাই (সেন্ট কিটসে)। ৩১ জুলাই সেন্ট কিটসের একই ভেন্যুতে প্রথম টি২০ ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে। আর তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ দুটি হবে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় (৪ ও ৫ আগস্ট)।

২০১৪ সালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে সবশেষ সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। ওই সফরটা কেটেছিল বেশ বাজে ভাবেই। দুই টেস্টেই হেরেছে বড় ব্যবধানে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। একমাত্র টি২০ ম্যাচটি অবশ্য বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। এর আগে ২০০৯ সালের সফরটি স্মরণীয় হয়ে আছে। সেবার টি২০ সিরিজটি বাদে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজেই স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। অবশ্য ওই সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের বেশিরভাগ তারকা খেলোয়াড়ই বোডের্র সঙ্গে দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে