উত্তরাঞ্চলের সবজি-অধ্যুষিত এলাকা গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় এই প্রথমবারের মতো থাইল্যান্ডের বিটরুট সবজির চাষ করছেন লুলু নামের এক আদর্শচাষী। উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের কাঠাল লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষিত কৃষক আবুল নেছার লুলু।
নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজের জমিতে দেশি বিদেশি নিত্য নতুন ফল ও সবজি উৎপাদন করে সারা দেশে পরিচিতি লাভের স্বপ্ন দীর্ঘদিনের লুলুর।সেই লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তিনি এ উপজেলায় প্রথমবারের মত থাইল্যান্ডের সবজি বিটরুট চাষ করেছেন ।
ইউটিউব দেখে পার্শ্ববর্তী জেলা বগুড়া থেকে বিটরুটের বীজ নিয়ে আসেন তিনি। এভাবে পরীক্ষামুলক ১০ শতাংশ জমিতে বিটরুটের বীজ বপন করে তা পরিচর্যা শুরু করেন। এছাড়া পাশাপাশি ওই জমিতে সাথী ফসল হিসাবে হাইব্রিড খিরার চারা রোপণ করেছেন।
কৃষক আবুল নেছার লুলু জানান ৬৫-৭০ দিন পর উৎপাদিত ফলন বাজারজাত করা যায়। প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় । তুলনামূলক ভাবে অন্যান্যে ফসলের চেয়ে বিটরুটের উৎপাদন ব্যয় অনেকটাই কম। ফলে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব। তিনি আরো জানান, বিটরুটের গাছ দেখতে অনেকটা পালংশাকের মতো হলেও রঙে ভিন্নতা রয়েছে। পাতা সবুজ ও লালচে ধরনের। নিচের মূল অংশটি দেখতে গাঢ় গোলাপি বা লালচে বেগুনি রঙের হয়ে থাকে।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ওমর ফারুক জানান, আমরা শুরু থেকেই কৃষকদের কারিগরি সহায়তা দিয়েছি। এছাড়া উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণের ব্যাপারেও সার্বিক সহযোগিতা করেছি। তিনি আরো জানান, লাল রঙের বিটালেইন এন্টিঅক্সিডেন্টের কারনে স্বাস্থের ওপর ইতিবাচক প্রভাবের জন্য বিটরুট বিশ্বব্যাপী সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত। এটি হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিকস, বক্ষব্যাধীসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধী প্রতিরোধে কার্যকরি। বিট সালাদ, সবজি, জুস হিসেবে খাওয়া যায়।
সাদুল্লাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মাহবুবুল আলম বসুনিয়া বলেন, উপজেলায় প্রথমবারের মতো ১০ শতক জমিতে বিটরুট চাষ হয়েছে। উপজেলার মাটি বিটরুট চাষের জন্য উপযোগি। এটি লাভজনক ফসল। আগামীতে কৃষকদের আগ্রহী করতে বিটরুট চাষ সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেয়া হবে।
যাযাদি/ এমএস