বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাঠকশূন্য পাইকগাছার পাবলিক লাইব্রেরি ও জাদুঘরের করুণ দশা

এস, এ ম, আলাউদ্দিন সোহাগ, পাইকগাছা (খুলনা)
  ২১ নভেম্বর ২০২১, ১৯:০৭

খুলনার পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার সমন্বয়হীনতার কারণে পাবলিক লাইব্রেরি ও জাদুঘর ধ্বংসের উপক্রম হয়ে পড়েছে। পাঠকশূন্য হয়ে পড়েছে লাইব্রেরি।

পাইকগাছা পৌরসভার প্রাণকেদ্রে পাইকগাছা পাবলিক লাইব্রেরি ও জাদুঘর ১৯৮৫ সালে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট স. ম. বাবর আলী প্রতিষ্ঠা করেন। যার আজীবন সদস্য ১৪৬ সাধারণ সদস্য ৯৩৮ জন। দুশ বই নিয়ে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে বই সংখ্যা ছিল ৫ হাজার। বর্তমানে অনেক বই হারিয়ে গেছে। ১৫টি আলমারি, ২০ খানা কাঠের চেয়ার, ৪টি টেবিল থাকলেও সবই প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী দেখানো হলেও তার সংখ্যা অনেক কম হবে। লাইব্রেরির ভবনটির অবস্থা খুই করুণ।

অনেক অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২-৩ শ পাঠকের আনাগোনা থাকলেও বর্তমানে তা পাঠকশূন্য হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে ২/১ জন পাঠক অতি প্রয়োজনে যায় বলে জানা যায়। বর্তমান লাইব্রেরিয়ান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ৮ বছর আগে আমাকে পৌরসভার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানে এসে যা পেয়েছি তা নিয়েই দায়িত্ব পালন করছি। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে পৌরসভা অলিখিতভাবে লাইব্রেরি ও জাদুঘর দেখাশোনার দায়িত্ব পায়। উপজেলা পরিষদ লিখিতভাবে হস্তান্তর না করায় অবকাঠামো কোনো পরিবর্তন করা বাজাদুঘরের স্মৃতি নিদর্শন রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট স. ম. বাবর আলী বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এটা প্রতিষ্ঠা করি। যে উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করেছিলাম আজ তা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, আমি এ উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি। বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে কীভাবে এর উন্নতি করা যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে